ইসলামী ব্যাংকগুলোর বিকাশে ইসলামিক ব্যাংকিং আইন হচ্ছে
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দেশের ইসলামী শরীয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর বিকাশের জন্য ইসলামিক ব্যাংকিং আইন হচ্ছে। আর এ নীতিমালা চালু করতে পারলে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা আরও প্রসারিত হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ইসলামিক ব্যাংকিং’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে ইসলামিক ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম (আইবিসিএফ)। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইবিসিএফ সভাপতি মোস্তফা আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নূরুল ফজল বুলবুল প্রমুখ।
সেমিনারে ‘দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলামী অর্থনীতির ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এক্সিম ব্যাংক অব বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া। এছাড়া ‘রোজা ও তাকওয়ার আলোকে মানবিক ব্যাংকিং’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনেক আগে আইবিসিএফ ইসলামিক ব্যাংকিং আইন করার জন্য আমাদের কাছে দাবি করেছিল। বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবার অর্থমন্ত্রী সায় দিয়েছেন। আমরা মালেশিয়ার ইসলামিক ব্যাংকিং আইনের আলোকে দেশের ইসলামী শরীয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর বিকাশের জন্য ইসলামিক ব্যাংকিং আইন করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা সত্য, নিষ্ঠা ও নৈতিকতার ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই এই ব্যাংক ব্যবস্থা কখনই ধ্বংস হবে না।
তিনি আরও বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে হবে। বিশ্বে প্রায় তিন শতাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ৭৫টি এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের মতো ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার মতো আমাদেরকেও একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেখানে ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান আসবে। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আইবিসিএফকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।