চুরিকৃত তথ্য ডার্ক ওয়েবে সস্তায় মিলছে!
জাফর ইকবাল: হ্যাকাররা বর্তমানে ব্যবসায়িক দিক দিয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে যেসব হ্যাকাররা বিশেষ ধরনের ডিজিটাল পণ্য নিয়ে ব্যবসা করছে তাদের ব্যবসা এখন তুঙ্গে। আর সেই বিশেষ ধরনের ডিজিটাল পণ্যটি হলো- অনলাইনে অন্যের আইডেনটিটি বিক্রি; অর্থাৎ অন্যের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তার পরিচয় বিক্রি করা। ‘ডেল সিকিউর ওয়ার্কস’র একটি নতুন রিপোর্ট দেখা গেছে, ইন্টারনেটে এখন অন্যের পরিচয় কেনাটা আগের চেয়ে সস্তা। এর কারণ হিসেবে রিপোর্টটিতে এই পণ্যটির অত্যাধিক চাহিদা এবং সেইসঙ্গে শক্তিশালী সরবরাহ ব্যবস্থার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
‘ডেল সিকিউর ওয়ার্কস’ তাদের রিপোর্টটিতে প্রকাশ করেছে, অন্যের ডিজিটাল পরিচয় কেনার খরচ আগের চেয়ে এখন সস্তা। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, সামাজিক মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট এবং ব্যক্তিগত তথ্যসহ অন্য সব ধরনের তথ্য বিক্রি হচ্ছে হ্যাকারদের মাধ্যমে। ‘কোয়ার্টজ’র তথ্য অনুযায়ী শারীরিক চিহ্নসংবলিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পাসপোর্ট পেতে ১০,০০০ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে, বর্তমানে যার সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৩,০০০ ডলার। এদিকে একটি ইলেকট্রনিক স্ক্যান করা পাসপোর্ট পেতে মাত্র ২৫ ডলার খরচ হয়। এমনকি চুরি করা ক্রেডিট কার্ড আরো সস্তা মূল্যে, মাত্র ১৫ ডলারে পাওয়া যায়। ফুলজ নামক প্যাকেজে কারো পূর্ণাঙ্গ তথ্য; যেমন নাম, ঠিকানা, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর, জন্মতারিখ ইত্যাদি পেতে খরচ করতে হবে ১৫ ডলার এবং ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তকরণযোগ্য তথ্য পেতে খরচ হবে মাত্র ২০ ডলার। এই ডিজিটাল পণ্যগুলো অনলাইনে ‘ডার্ক ওয়েবে’ বিক্রি হয়। রিপোর্টটিতে আরো আলোকপাত করা হয়েছে, এটিএম স্কিমাররা যারা ব্যাংক থেকে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এর পিছনের চুম্বকীয় তথ্য সংগ্রহ করে তারা এ পণ্য কিনতে অনলাইনে ১,৭৭৫ ডলার খরচ করে।