পদত্যাগের ঘোষণা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের
গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে না থাকার পক্ষ্যে ব্রিটিশ জনগণের রায়ের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
বৃহস্পতিবার গ্রেটবৃটেন জুড়ে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে না থাকার পক্ষে রায় দেন বেশিরভাগ ব্রিটিশ।
রায় আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে এক জনাকীর্ন সংবাদ সম্মলনে নতুন লিডারশিপের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে পদত্যাগের ঘোষণা পরপর দুইবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ব্রিটেনের জনগণ পরিস্কারভাবে ভিন্ন থাকার পথকে বেছে নিয়েছে। আমি মনে করি নতুন এ প্রক্রিয়ায় দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে নতুন লিডারশিপের প্রয়োজন।
বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর এই সরকার প্রধান বলেন, সামনের কয়েকটি সপ্তাহ ও মাস আমি কেবল জাহাজটির নিয়ন্ত্রন ধরে রাখবো তবে দেশকে পরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব নেয়া সঠিক হবে না বলে আমি মনে করি। এ সিদ্ধান্তকে হাল্কাভাবে নেয়ার সুযোগ আমার নেই। আমি মনে করি দেশের বৃহত্তর স্বার্থ ও স্থায়িত্ব বিবেচনায় নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা জরুরী।
ডেভিড ক্যামেরন বলেন, এমুহূর্তে কোনো সময়সীমা না থাকলেও আমি এবং আমার মন্ত্রী পরিষদ আরো তিন মাস দায়িত্বে থাকবো। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য কনজারভেটিভ পার্টি কনফারেন্সের শুরুতেই আমাদের লক্ষ্য হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে ডেভিড ক্যামেরন ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচিত হতে পারলে ইইউতে থাকা প্রশ্নে গণভোট করবেন।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার এই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। বৃটিশ জনগণের ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। পক্ষান্তরে ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার। সর্বমোট ৭২ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেন।
গণভোটের রায়কে জনগণের বিজয় হিসাবে দেখছেন ইইউ ছাড়ার পক্ষে নেতৃত্বদানকারী বৃটিশ নেতা বরিস জনসন ও নাইজেল ফরাজ।