ব্রিটেনের পরবর্তী সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে বাজি ধরা শুরু হয়ে গেছে। বাজিকরদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন লন্ডনের সাবেক মেয়র ও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায়ের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার পক্ষের শিবিরে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন জনসন। সে সময় তিনি বলেন, ব্রাসেলসে (ইইউর সদর দপ্তর) ব্রিটেনের জন্য একটি ভালো চুক্তির ব্যাপারে সমঝোতা করতে ক্যামেরন ব্যর্থ হবেন বলে মনে করি। তার ওই ঘোষণার পরপরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে বাজিকরদের পছন্দের তালিকায় ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্নকে টেক্কা দিয়ে বরিস জনসনের নাম উঠে আসে।
ব্রিটেনের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ডেভিড ক্যামেরনের উত্তরসূরি হিসেবে বাজিকরদের দ্বিতীয় পছন্দের ব্যক্তি হচ্ছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার অর্থাৎ বেক্সিটের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। বাজিকরদের তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিচারবিষয়কমন্ত্রী মাইকেল গোভ।
যুক্তরাজ্যের ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ জনগণ ইইউ ছাড়ার পক্ষে রায় দেওয়ার পর ক্যামেরন আগামী অক্টোবরে পদত্যাগ ও তার উত্তরসূরি নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্যামেরন বলেন, ব্রিটিশ জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের মতামতকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানানো উচিত। ব্রিটেনের জনগণের ইচ্ছা একটি নির্দেশনা, যা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।
ক্যামেরন আরো বলেন, যুক্তরাজ্যের ‘নতুন নেতৃত্ব’ দরকার। কিছুদিন স্বপদে থেকে পদত্যাগ করবেন বলে তিনি এরই মধ্যে রানিকে জানিয়েছেন। এরপর অক্টোবরে রক্ষণশীল দলের সম্মেলনে তিনি দায়িত্ব নতুন কারো কাছে হস্তান্তর করবেন।