৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন পাউন্ডের
ব্রিটেনের ইইউ ছাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর ৩০ বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ড। এক পর্যায়ে ডলারের বিপরীতে ৯ শতাংশ দরপতন ঘটে পাউন্ডের। প্রতি পাউন্ডের মূল্য দাঁড়ায় ১.৩৪৫৯ পাউন্ড, যা ১৯৮৫ সালের পর আর দেখা যায়নি।
ভোটের ফলাফল আসার পূর্বে পাউন্ডের মূল্য ছিল উর্ধ্বমুখী। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ধারণা করেছিলেন ‘রিমেইন’ বা রয়ে যাওয়ার পক্ষেই রায় দেবেন ব্রিটিশরা। তখন প্রতি পাউন্ড সমান ছিল দেড় ডলার!
কিন্তু উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের ভোটের ফলাফলে ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে প্রাথমিক ফলাফল আসার পরপর একলাফে পাউন্ডের দাম নেমে যায় ১.৪৩ ডলারে। পরবর্তী ধাপের পূর্বাভাষেও ইইউ ছাড়ার পক্ষে মানুষের অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়। এরপর আরও কমে যায় পাউন্ডের দাম।
বিরোধী লেবার দলের ছায়া অর্থমন্ত্রী জন ম্যাকডনেল বলেছেন, পাউন্ড চাঙা করতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে হয়তো হস্তক্ষেপ করতে হবে।
মূদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ অবস্থা ২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্কটের সময়ের চেয়েও মারাত্মক। এটিএক্স ক্যাপিটালের প্রধান জো রান্ডল বলেন, এমনটা জীবনেও দেখিনি। এ ধরণের দরপতন জীবনে একবারই দেখা যায়। লেহম্যান ও ব্ল্যাক উইডনেসডের চেয়েও এটি বড় দরপতন। অথচ, আমরা এখনও গণভোটের আসল ফলাফলই পাইনি। তার আগেই এই অবস্থা!
বিবিসির খবরে বলা হয়, মধ্যরাতের দিকে স্টার্লিং-এর মূল্য দেড় ডলারে উন্নীত হয়। ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে অন্যতম প্রধান প্রচারণাকারী নাইজেল ফ্যারেজ তখন বলেছিলেন, ‘রিমেইন’ বা ছেড়ে যাওয়ার পক্ষের ভোট একেবারেই কাছাকাছি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ওই উর্ধ্বমুখী অবস্থান হারায় স্টারলিং। কেননা, প্রথম দিককার ফলাফলে ইইউ ছাড়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান প্রকাশ পায়।
এদিকে, ফলাফলের পর লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের ৮ শতাংশ দরপতন ঘটেছে। টোকিওর নিক্কেই ২২৫-এ দরপতন হয়েছে ৬ শতাংশেরও বেশি।