ব্রিটেন ছাড়ার প্রস্তুতি স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের
গণভোটে ইইউ ছাড়ার পক্ষে ব্রিটিশদের জনরায় স্পষ্ট হওয়ার পর, খোদ ব্রিটেন ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে। উত্তর আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের ভোটাররাই বিপুলহারে ইইউতে রয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
কিন্তু উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের ভোটাররা ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে বেশি ভোট দেয়ায় এখন ব্রিটেনের ইইউ-ত্যাগ সময়ের ব্যাপার। টেলিগ্রাফের খবর, স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন এসএনপি ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সিন ফেইন দল শিগগিরই বিবৃতির মাধ্যমে বৃটেন থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার আহবান জানাবে।
এর আগে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার ও ক্ষমতাসীন এসএনপি’র নেত্রী নিকোলা স্টার্জিওন বলেছিলেন, স্কটল্যান্ডের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে যদি যুক্তরাজ্য ইইউ ছেড়ে চলে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়, তবে স্বাধীনতার দাবিতে দ্বিতীয় গণভোট ঠেকানো অসম্ভব হয়ে উঠবে। এর আগে ২০১৪ সালে একবার স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতার বিষয়ে গণভোট হয়েছিল। সেবার অবশ্য ভোটাররা বৃটেনে থাকার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন বেশি।
বিশ্বখ্যাত বৃটিশ লেখিকা জে. কে. রাওলিং টুইটারে লিখেছেন, স্কটল্যান্ড এবার স্বাধীনতা চাইবে। ক্যামেরনের (প্রধানমন্ত্রী) লিগ্যাসি হবে দুইটি ইউনিয়ন ভেঙ্গে দেয়া। অথচ, কোনটিরই প্রয়োজন ছিল না।
স্কটল্যান্ডের ফলাফল প্রায় পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর নিকোলা স্টার্জিওন বলেছেন, এটি স্পষ্ট যে, স্কটল্যান্ডের মানুষ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভেতরই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছে। গণভোটে স্কটল্যান্ডের ৩২টি এলাকাতেই জনগণ ইইউতে রয়ে যাওয়ার পক্ষে বেশি ভোট দেন। ফলাফল জানার পর তিনি স্টার্জিওন এক বিবৃতিতে নিজের দৃষ্টিভঙ্গির কথা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্যজুড়ে ‘রিমেইন’ ভোটে বড় ধরণের অবদান রেখেছে। এসএনপি এর পক্ষে ইতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে, তারই প্রতিফলন এটি। স্কটল্যান্ডের মানুষ এ ইতিবাচক বার্তায় সাড়া দিয়েছে।’ তার ভাষ্য, ‘যুক্তরাজ্য-জুড়ে পূর্ণ ফলাফলের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। কিন্তু স্কটল্যান্ড সন্দেহাতীতভাবে তার অবস্থান ব্যাক্ত করেছে।’