ব্রিটেনের গণভোট : বিভিন্ন দেশের নানামুখী প্রতিক্রিয়া
ব্রিটেনের গণভোটে দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে না থাকার পক্ষে দেবার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
গত ৪৩ বছর ইইউর সদস্য থাকার পর এই ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দিলেন ব্রিটেনের প্রায় ৫২ শতাংশ ভোটার। ইইউ-তে থাকার পক্ষেরায় দেন ৪৮ শতাংশ।
এ রায়ের পর ডেভিড ক্যামেরন ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন।
স্কটল্যান্ডে তার নিজের গলফ কোর্স দেখতে আসা ট্রাম্প বলেছেন, এটা একটা দারুণ ব্যাপার যে যুক্তরাজ্যের জনগণ তাদের ‘নিজ দেশকে ফিরে পেয়েছে’।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ বলেছেন, এটা ব্রিটিশ জনগণের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাক – এটাই ক্রেমলিন চাইছিল কিনা, এ নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি সমৃদ্ধশালী ইউরোপ সব পক্ষেরই স্বার্থের অনুকুল, এবং চীন ব্রিটেন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের সাথে সহযোগতা অব্যাহত রাখবে।
ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এই গণভোটের ফলাফল অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে, কারণ যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং বাকি বিশ্বে এর প্রভাব কি হবে তা এখনো অজানা।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা স্থিতিশীল বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাকি ২৭টি দেশের ঐক্য বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কিন্তু ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড এবং ডেনমার্কের ইইউ-বিরোধী নেতারা তাদের দেশেও ইইউতে থাকা-না-থাকা প্রশ্নে গণভোটের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপি অর্থবাজারে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যমান গত ৩৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পড়ে গেছে। তবে পরে এর দর আবার খানিকটা বেড়েছে।
তেলের দামও পড়ে গেছে। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেবার প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। ঝুঁকি কাটানোর জন্য ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাড়তি তহবিলের ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছেন এর গভর্নর মাইক কার্নি।