বায়তুল মোকাররমে মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের জানাজা অনুষ্ঠিত
প্রায় অর্ধলক্ষ মুসল্লির উপস্থিতিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দেশের সর্বাধিক প্রচারিত মাসিক ‘মদীনা’র সম্পাদক, শীর্ষ ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ. এর জানাজা। আজ রোববার (২৬ জুন) জোহরের নামাজ শেষে জানাজার ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান। এ উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম এলাকায় মানুষের ঢল নামে।
জানাজা নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তার বড় ছেলে মুস্তফা মঈনুদ্দীন খান। তিনি উপস্থিত মুসল্লি ও দেশবাসীর কাছে তার পিতার মাগফেরাত কামনা করেন। তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে বেলা ১টা ৩০ মিনিটে জানাজা শুরু হয়।
দুপুর আড়াইটার দিকে মরহুমের নিজ বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের উদ্দেশে লাশ রওয়ানা হয় । সেখানে তাঁর ৩য় জানাজা সোমবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর তাঁকে সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে সকাল ১০ টায় ঢাকার গেন্ডারিয়াতে তার ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মাসীক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান গতকাল (২৫.৬.১৬) বিকাল ৬ টা ১০ মিনিটে ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার নামাজে জানাজায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পাশাপাশি শরিক হন সর্বস্তরের আলেম ওলামা। জানাজা শেষে সবাই মরহুমের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খান উপমহাদশেরে বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, দেশের র্শীষ আলেম, বাংলায় সীরাত সাহিত্যের জনক, ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রদূত, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি, তাফসীরে মাআরিফুল কোরআনসহ অসংখ্য গ্রন্থরে অনুবাদক ও বাংলাদেশে সর্বাধিক প্রচারিত মাসিক ‘মদীনা’র সম্পাদক। স্ত্রী, ৩ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ আত্মীয়-স্বজন, ভক্ত-অনুরক্ত রেখে তিনি দুনিয়া ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো প্রায় ৮১ বছর।