বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেন
গণভোটে ব্রিটেনের ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায় আসার পরই উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাজ্য। ওই ফলাফলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মানুষ বিক্ষোভ করেছে রাজধানী লন্ডন ও স্কটল্যান্ডের কয়েকটি শহরে।
ইইউ এর পক্ষে থাকতে দ্বিতীয় দফায় গণভোটের আবেদন জানিয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। আর ব্রিটেনকে দ্রুত জোট ছাড়ার তাগিদ দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
ব্রিটেনের ইউরোপিয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে বৃহস্পতিবারের ঐতিহাসিক গণভোটে ইইউ ছাড়ার পক্ষে রায় আসার পরই নতুন করে হিসাব-নিকাশ শুরু হয় ব্রিটিশদের। অভিবাসীদের ভারে জর্জরিত ব্রিটিশরা ইউ ছাড়ার পক্ষে রায় দিলেও অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার ইঙ্গিত পেয়ে আবারো ইইউতে থেকে যেতে দ্বিতীয় দফায় গণভোটের আবেদন করেন লাখো মানুষ।
বর্ণবাদী ও অভিবাসীবিরোধীদের প্রতারণাপূর্ণ প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে ভোটাররা ইইউ ছাড়ার পক্ষে রায় দিয়েছে অভিযোগ করে তারা আবারো গণভোটের দাবি তুলেন। লন্ডনের স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন দেড় লাখেরও বেশী মানুষ। তাদের অনেকে বিক্ষোভ করেন লন্ডনে।
স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ হয় স্কটল্যান্ডের কয়েকটি শহরেও। যুক্তরাজ্য থেকে আলাদা হতে দ্বিতীয়বারের মতো গণভোটের ডাক দেয়ার সম্ভাবনার কথা জানান স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন।
ব্রিটেনবাসীর ইউরোপিয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরে এক বৈঠকে ব্রিটেনের সঙ্গে বিদায় আলোচনার শুরুর প্রস্তাব দেন ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বুধবার জরুরি বৈঠকে বসবেন ইইউ নেতারা। তবে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ব্রিটেনের বিদায় আলোচনা গঠনমূলকভাবে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশরা ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা কার্যকর হতে সময় লাগবে প্রায় ২ বছর। এ সময়ে ইইউতে থেকে যেতে আবারো আবেদন করতে পারবে ব্রিটেন। তবে দীর্ঘ এ সময় পাড়ি দিতে লাভ- লোকসানের অনেক জটিল হিসেব কষতে হবে ব্রিটেনবাসীদের।