ব্রিটেনের ইইউ ছাড়ার প্রক্রিয়ায় একমত ফ্রান্স-জার্মানি

ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের ইইউ ছাড়ার প্রক্রিয়ায় একমত হয়েছে ফ্রান্স এবং জার্মানি। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং ফান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করতে চাইছে সে বিষয়ের পূর্ণ চুক্তিতে একমত হয়েছেন তারা।
ইইউ ছাড়ার পক্ষে গণভোট পড়লেও ব্রিটেন বলছে, তারা কোনও তাড়াহুড়ো না করে ধীরে-সুস্থে সময় নিয়ে নিজেদের বিদায় প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়।
তবে ইইউ এর শীর্ষ নেতারা বলছেন, প্রক্রিয়া শুরু হতে দীর্ঘসূত্রতা হলে এটি তাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে। আর ব্রিটেনের আশায় তারা সময় ব্যয় করতে চায় না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু ব্রিটেনের পক্ষে রয়েছেন জার্মানি এবং ফ্রান্স। মেরকেল বলেন, ব্রিটেনকে ইইউ ত্যাগের জন্য চাপ দেয়া যাবে না। ব্রিটেনকে অহেতুক দ্রুতগতির সঙ্গে কাজ করতে তাড়া দেয়ার পক্ষে তিনি একমত নন। তাড়াহুড়া করে ব্রিটেনকে ইইউ ছাড়তে বাধ্য করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিদায় প্রক্রিয়া নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা হবার কথা সেটি যেন নোংরামিতে পরিণত না হয় সে দিকে ইইউ নেতাদের সচেষ্ট থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে, ওঁলাদে সতর্ক করে বলেছেন, একত্র না থাকলে আমরা বিভক্ত হয়ে যাব। আমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ এবং বিচ্ছেদের শঙ্কা আরো বেড়ে যাবে। ব্রেক্সিটের পর এই দুই শীর্ষ নেতার বেরলিনে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
এদিকে, ব্রেক্সিটের পর পাউন্ডের পতন ঘটেছে। বিশ্ব শেয়ার বাজারে বড় ধরনের দরপতন দেখা গেছে। এ নিয়ে এশিয়ার বিভিন্ন দেশও শঙ্কায় রয়েছে।
অপরদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের বিষয়ে ব্রিটেন এবং ব্রাসেলসের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন পথে হাটছে স্কটল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেওন বলেছেন, তার দেশের পার্লামেন্টের সদস্যরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করবে।
এছাড়া ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণার পর বিরোধী লেবার পার্টিতেও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। লেবার নেতা জেরোমি করবিন বলছেন, তিনি নেতৃত্ব ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজনে যদি আবারো নির্বাচন হয় সেখানেও লড়বেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সোমবার ক্যাবিনেটে এক জরুরি সভার আয়োজন করেছেন।
রোববার রোমে সফরকালে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি ইইউয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখবে বলে উল্লেখ করেছেন।
অপরদিকে, ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্রিটেনের বিশেষ সম্পর্ক আগের মতই থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি ব্রিটেনের জনগণের মতামতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button