তুরস্কের বিমানবন্দরে আত্মঘাতি হামলায় নিহত ৩৬
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০ জন।
বিমানবন্দর থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা হঠাত্ গুলির শব্দ শুনতে পান আর তারপর বোমা বিস্ফোরণ হয়। একটি টার্মিনালে ঢোকার পথে একজন বন্দুকধারী শুরুতে গুলি চালায় এবং তারপর তার শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে আত্মঘাতী এই হামলায় অংশ নিয়েছেন আরো দুজন বন্দুকধারী।
সেখানে কেবলই অবতরণ করা একটি বিমানে যাত্রী ছিলেন বিবিসির মার্ক লোয়েন। পরিস্থিতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, যাত্রীদের রানওয়েতেই বিমানে রেখে দেয়া হয়। তিনি বহু নিরাপত্তা রক্ষী ও এম্বুলেন্স দেখতে পাচ্ছিলেন।
এ ঘটনায় ইউরোপের অন্যতম ব্যস্ত আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরটির সকল ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানান, ওই বিমানবন্দরের কিছু ফ্লাইট অন্য পথে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরটিকে অনেকদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ বলা হচ্ছিল। কারণ যাত্রীদের প্রবেশ পথে লাগেজ স্ক্যান করা হলেও সেখানে টার্মিনালে আসা গাড়ির জন্য কোন স্ক্যানার নেই।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, হামলায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই তুরস্কের নাগরিক। হামলায় যেসব বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন, তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, হামলার ধরন দেখে এর পেছনে আইএস জঙ্গিরা থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সেখান থেকে বিশ্লেষক গ্যারেথ জেংকিনস বলছেন, এই হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার না করলেও সন্দেহের তীর রয়েছে কথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী অথবা কুর্দি জঙ্গি গোষ্ঠী পিকেকের দিকে।
গত বছর কুর্দি জঙ্গিদের সাথে তুরস্কের সরকারের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে পিকেকে বেশ কটি হামলা চালিয়েছে। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীও তুরস্কে কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।