স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান
মাসুদ মজুমদার: দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও মাসিক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান আর নেই। ২৫ জুন শনিবার বিকেল সাড়ে ৬টায় তিনি ৮৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ইফতারের কিছুক্ষণ আগে তার এই মৃত্যুসংবাদ অসংখ্য ভক্ত, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহীদের মাঝে তাৎক্ষণিক শোকের ছায়া ফেলে। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আল্লাহর পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা জীবন অতিবাহিত করে অবশেষে পবিত্র রমজানের মধ্যে তিনি ইহজীবন থেকে বিদায় নিলেন।
মৃত্যুর পরদিন রোববার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার আনসারনগর গ্রামের নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। মাওলানার সাথে বিশেষ সম্পর্কের সুবাদে তার পরিবারকেও জানতাম। তার সন্তান ও জামাতার সাথে ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে। পারিবারিক জীবনেও তিনি ছিলেন একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ।
বাংলা ভাষায় ইসলাম চর্চার এই দিকপাল ১৯৩৫ সালের ১৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার ছয়চির গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুমের পৈতৃক নিবাস ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার আনসার নগরে। পাঁচবাগ মাদরাসা থেকে ১৯৫১ সালে আলিম ও ১৯৫৩ সালে স্কলারশিপসহ ফাজিল পাস করেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে হাদিস বিষয়ে কামিল ও ১৯৫৬ সালে ফিকহ বিষয়ে কামিল ডিগ্রি লাভ করেন। আলিয়া ধারায় লেখাপড়া করলেও খান সাহেব কওমি ধারার সাথে বেশি সম্পর্ক রেখে চলতেন। আমরা যারা তার মনের সাথে পরিচিত ছিলামÑ তাকে পেয়েছি একজন প্রগতিশীল ও আধুনিক ইসলামি বিশেষজ্ঞ হিসেবে। যেকোনো প্রান্তিক চিন্তাই তিনি পরিহার করতেন। আকিদাসচেতন থেকে এতটা সার্বজনীন ও ঐক্যপ্রয়াসী আলেম সাধারণত চোখে পড়ে না। আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আত্মস্থ করেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক উদারমনা, কিন্তু নিপাট আমলদার মানুষ।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতা ও সহিত্যচর্চার দিকে ঝুঁকে পড়েন। তিনি ১৯৬০ সালে ‘মাসিক দিশারী’, ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ‘সাপ্তাহিক নয়া জামানা’ সম্পাদনা করেন। ১৯৬১ সাল থেকে আমৃত্যু ‘মাসিক মদীনা’ সম্পাদনা করেছেন। এক সময় তার সম্পাদিত ‘আজ’ সাহিত্য মহলে সাড়া জাগায়। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ১৯৮৮ সালে সৌদিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রাবেতায়ে আলমে ইসলামী’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন। এর মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক মহলেও পরিচিত হয়ে ওঠেন। দেশের বাইরেও বাংলাভাষীরা তার গুণমুগ্ধ পাঠক। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরাসহ প্রবাসে মরহুম খান নন্দিত লেখকের মর্যাদা পেয়েছেন। ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের গফরগাঁও নির্বাচনী এলাকায় জমিয়তের প্রার্থী হিসেবে খেজুরগাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালের সম্মেলনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে জমিয়তের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তিনি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। মরহুম ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিংশ শতকের ষাটের দশকের মাঝামাঝি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান চিন্তক ও গবেষকের অবস্থান থেকে ‘দারুল উলুম ইসলামী একাডেমি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। স্বাধীনতার পর এ প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তিত হয়ে অন্য নামে পরিচিতি পায়।
এই আলেমে দ্বীন রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ সংযোগ রেখে চলতেন, কিন্তু রাজনীতিবিদ হতে চাইতেন না। ইসলামের সাংস্কৃতিক রূপময়তা ও রাজনৈতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে মাওলানা অধিকতর আকৃষ্ট হলেও তার লেখালেখির জগৎ কখনো ছেড়ে যাননি। এ ক্ষেত্রে মাওলানা আকরাম খাঁ ছিলেন তার প্রেরণা। যদিও চিন্তাগত দিক থেকে তিনি তার শতভাগ অনুসারী ছিলেন না। আবুল মনসুর আহমদ, খন্দকার আবদুল হামিদ, আবুল কালাম শামসুদ্দিন, সানাউল্লাহ নূরী, মোহাম্মদ মোদাব্বের, আখতার উল আলমসহ প্রথম কাতারের সাংবাদিকদের সাথে মরহুমের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তারা সবাই মাওলানার ভাষাজ্ঞানের প্রশংসা করেছেন। মরহুমের গদ্যচর্চার ধরন ছিল সাবলীল।
জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে এই আলেমে দ্বীন বেশ ক’বার জাতীয় অভিভাবকের অবস্থান থেকে আগ্রাসনবিরোধী ভূমিকা নিয়েছেন। মরণফাঁদ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ২০০৫ সালের ৯ ও ১০ মার্চ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ‘ভারতীয় নদী আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির’ ব্যানারে টিপাইমুখ অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চের ডাক দিয়েছিলেন। এতে দেশের প্রায় ৩০টি সংগঠন যোগদান করে। এটা ছিল মাওলানা ভাসানী ও শায়খুল হাদিসের ফারাক্কা এবং বাবরি মসজিদ লংমার্চের ফলোআপের মতো।
মাওলানা মরহুম এ দেশের সব ক’টি শিক্ষা আন্দোলনে শরিক ছিলেন। শিক্ষা সংস্কারে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। কোনো কোনোটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তা ছাড়া অসহায়, দরিদ্র ও এতিম ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, সম্বলহীন লোকদের বসতবাড়ি নির্মাণসহ সার্বিক কল্যাণে তিনি সব সময় তৎপর থেকেছেন। বান্দরবান জেলার কয়েক শ’ উপজাতি পরিবার তার সহযোগিতায় বিশ্বাস পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েছে। সেখানে প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষকে তিনি ‘তাওহিদ মিশন’ সংস্থার মাধ্যমে পুনর্বাসন করেছেন।
বাংলা ভাষায় ইসলাম চর্চা ও অনুবাদ শাখাকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে তিনজন ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্বের নাম না নিলে নয়। মাওলানা আবদুর রহিম, অধ্যাপক আখতার ফারুখ ও মাওলানা খান সেই বিরল সম্মান পাওয়ার অধিকারী। পূর্ববাংলার গণমানুষের জাগৃতির জন্য একযোগে কাজ করার জন্য বিভাগ-উত্তর সময়ে চারজন ধীমান ব্যক্তি পারস্পরিক অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন। সৈয়দ আলী আহসান, কবি বেনজির আহমদ, কবি ফররুখ আহমদ ও কবি তালীম হোসেন। তরুণ মুহিউদ্দীন খান ছিলেন এই ধারার আলেম প্রতিনিধি। কবি ফররুখসহ সবার সাথে তার সম্পর্ক ছিল নিবিড়। কবি ফররুখ রসিকতা করে তাকে নিয়ে রসাত্মক ছড়াও লিখেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে বিগত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর ক্ষেত্রে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ক্যাটালিস্টের ভূমিকা পালন করেছেন। এমন কোনো ঐক্যপ্রয়াস ছিল নাÑ যার নেপথ্যে মাওলানা খান সক্রিয় ছিলেন না। জাতির মন, মনন ও আশা-আকাক্সক্ষাকে আত্মস্থ করে সেটা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে মুহিউদ্দীন খান সংগঠক ও যুগের নকিবের ভূমিকা পালন করেছেন। ফিকাহ শাস্ত্রে মাওলানার পাণ্ডিত্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতে স্বীকৃত। অনেক তর্কিত ধর্মীয় ইস্যুতে তার ডাক পড়েছে এমিকাসকিউরি হিসেবে। ফতোয়া বিতর্ক তার মধ্যে অন্যতম।
প্রতিভাধর মাওলানা মুহিউদ্দীন খান বাংলা ভাষায় ইসলামি সাহিত্য রচনা, সম্পাদনা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলা ভাষায় সিরাত সাহিত্যের বিকাশে তার অবদান অবিস্মরণীয়। হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সা: সাহিত্যের আলাদা একটা বিষয় হতে পারেন; এবং সেটা হতে পারে অতুলনীয়, এই ধারণার বাস্তবতা দিয়েছেন তিনি। আজ সিরাত সাহিত্য বাংলা ভাষায় একটি সমৃদ্ধ শাখা। তিনি প্রায় ১০৫ খানা গ্রন্থ অনুবাদ ও রচনা করেছেন। পবিত্র কুরআনকে বাংলাভাষীদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলতে মরহুমের ভূমিকা প্রতিষ্ঠানতুল্য। একটি গ্রহণযোগ্য তাফসির গ্রন্থকে ভাষান্তরিত ও সম্পাদিত করে বাংলাভাষীদের মধ্যে ব্যাপক হারে জনপ্রিয় করে তুলতে তার অবদান অবিস্মরণীয়। তার সম্পাদিত ‘মাসিক মদীনা’র প্রশ্নোত্তর সঙ্কলন ‘সমকালীন জিজ্ঞাসার জবাব’ ২০ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। মাসিক মদীনা লাখো মানুষকে বছরের পর বছর ইসলামি সাহিত্যের মৌলিক ধারার সাথে সম্পৃক্ত রেখেছে। মাসিক মদীনা এবং মাওলানা মুহিউদ্দীন খান যেন অভিন্ন এক পরিচিতি।
ব্যক্তিগত জানাশোনা ও একান্ত সম্পর্কের দিনগুলোতে তাকে পেয়েছি বন্ধুর মতো, ভাইয়ের মতো, বাবার মতো। তিনি আলেম-ওলামাদের প্রতি যেমন শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তেমনি ফেরকাবন্দী জীবন ও ক্ষুদ্র বিষয়ে বড় বিতর্কে বিরক্তও ছিলেন। আধুনিক ও ইংরেজি শিক্ষিতদের তিনি কদর করতেন। তাদের ধর্মানুরাগ তাকে অনেক বেশি উৎসাহ জোগাত। তিনি বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ দিতেন। বিজ্ঞান বিষয়ক কয়েকটি প্রকাশনা ও গবেষণা গ্রন্থ তারই পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলে অন্য কাউকে তিনি কখনো অবজ্ঞা করেননি। পাশ কাটিয়ে চলেননি। সবাইকে নিয়ে ঐক্যের মঞ্চ তৈরি করতে সদা তৎপর ছিলেন। একবার দুঃখ করে বলেছিলেনÑ ‘আমার জীবনটা আলেম-ওলামা ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ঐক্যের ভিত তৈরি করতেই কেটে গেলÑ যেভাবে চাই সেভাবে ঐক্য গড়ে তুলতে পারলাম না।’ তার এই দুঃখবোধ যুগপৎ কষ্টের ও অভিমানের।
একটা স্মৃতিচারণ না করলেই নয়। কবি আল মাহমুদ এই সময়ের শীর্ষ কবি। শক্তিমান বিশ্বাসী কবি। ‘হাওয়া বিবির জাগরণ’ নামে একটা কবিতা লিখলেন। যথারীতি কবিতাটি প্রকাশিত হলো। মাওলানা ভোরেই টেলিফোন করলেন। আমাকে নাশতার টেবিলে চান। পুরানা পল্টনে তার দফতরে গিয়ে দেখি শত শত ব্যানার প্রস্তুত। দুপুরে মিছিল বের করবেন। প্রতিবাদ করবেন, আল মাহমুদ বিশ্বাসী মানুষ হয়েও ইহুদি মিথ নিয়ে কবিতা লিখতে গিয়ে পবিত্র কুরআনের উপস্থাপনাকে এড়িয়ে গেছেন। আমরা জানি হজরত আদম-হাওয়া আ: প্রথম মানুষ। হজরত আদম আ: প্রথম নবীও। ইহুদি-খ্রিষ্টানও তা মানে, তবে ওল্ড টেস্টামেন্টের বরাতে ‘আদি পাপের’ একটা গল্প জুড়ে দেয়, যা পবিত্র কুরআনসম্মত নয়। মাওলানাকে কাছে থেকে জানি। প্রতিবাদ তিনি করবেনই। ততক্ষণে প্রীতিভাজন কবি মতিউর রহমান মল্লিক জানালেনÑ আমি যেন মাওলানাকে ঠেকাই। আমার অনুরোধ তিনি শুনবেন। ঠাণ্ডা মাথায় মাওলানাকে বললাম, মাওলানা ব্যতিক্রম ছাড়া সব কবি ভাবের রাজ্যে সাঁতার কেটে বিভ্রান্তির উপত্যকায় ঘুরে বেড়ান। আল মাহমুদ ব্যতিক্রম নন। উপকার করতে গিয়ে ক্ষতি করে ফেলেছেন। আমি দায়িত্ব নিলাম, আল্লাহ হজরত আদম-হাওয়ার জন্য ক্ষমার শর্ত হিসেবে একটা দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। আমি সন্ধ্যার আগেই আল মাহমুদ ভাইকে দিয়ে দোয়াটা (রাব্বানা-জোয়ালামনা…) পড়িয়ে নেব। মাওলানা বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলেন। বললেন, সত্যিই তাই করবেন। কথা দিলাম। মাওলানা বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, আপনি আমাকে এবং আল মাহমুদ দু’জনকেই দায়মুক্ত করলেন। তাৎক্ষণিক সবাইকে বলে দিলেন আল মাহমুদের বিরুদ্ধে মিছিল হবে না। তার হেদায়েত ও কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত হবে। মাওলানার কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি সেদিন সন্ধ্যায় বিসিআইসি মিলনায়তনের সেমিনার শেষে প্রিয় কবিকে অর্থসহ পড়িয়ে দিয়েছিলাম। কবি আত্মস্থ করেছিলেন। তসলিমা ইস্যুতেও তিনি প্রতিবাদী হয়েছেন, হঠকারী হননি। তাই আমার দেখা-জানাশোনা আলেমদের মধ্যে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ছিলেন একজন ভারসাম্যপূর্ণ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিত্ব, যিনি জাতির যেকোনো সন্ধিক্ষণ ও ক্রান্তিকালে একা হলেও দাঁড়িয়ে যাওয়াকে কর্তব্য ভাবতেন। আল্লাহ নিশ্চয়ই তার এই প্রিয় বান্দাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দিয়ে সম্মানিত করবেন।