ব্রিটেনে বাংলাদেশী তিন ছাত্রীর কৃতিত্ব
চলতি বছর স্যার জনকাস ফাউন্ডেশন সিক্স ফর্ম কলেজ থেকে এ লেভেল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে উত্তীর্ন হয়েছে মহিমা আহমদ। সে একটি এ স্টার, একটি এ এবং একটি বিষয়ে বি পেয়ে এ লেভেল সম্পন্ন করেছে। মহিমার পিতা শাহাব উদ্দিন আহমদ বেলাল এবং মাতা আয়শা আহমদ। পূর্ব লন্ডনের স্টেপনি গ্রীনে এই পরিবারের বসবাস। বাংলাদেশে তাদের বাড়ী সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার চন্দগ্রামে।
একজন পেশাদার প্রকৌশলি হিসেবে জীবন গড়তে চায় মহিমা আহমদ। সেই স্বপ্ন পুরণে মহিমা ইতিমধ্যে স্বনামধন্য ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটিতে ইঞ্জিনিয়ার বিষয়ে তার আসন নিশ্চিত করেছে। সে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। মহিমার পিতামহ মরহুম মশররফ আলী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর পর ব্রিটিশ নৌবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে বিয়ানী বাজার পঞ্চখন্ড হরগবিন্দ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে শিক্ষকতার পেশা থেকে অবসর নেন। মহিমার ভবিষ্য্ সাফল্যের জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া কামনা করা হয়েছে।
নাহিদা রহমান:
সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া জিসিএসই পরীক্ষার ফলাফলে নয়টি বিষয়ে এ স্টার এবং একটি বিষয়ে এ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ন হয়েছে নাহিদা রহমান। সে ফরেস্ট প্রাইভেট স্কুল থেকে জিসিএসই পরীক্ষায় অংশ নেয়। নাহিদা রহমানের বাবা মতিউর রহমান (দুদু) এবং মাতা মনোয়ারা রহমান। বাংলাদেশে তাদের বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার পুরুষপাল গ্রামে।
পূর্ব লন্ডনের বেকটনের বাসিন্দা নাহিদা রহমান বড় হয়ে একজন ডাক্তার হতে চায়। মেয়ের সাফল্যে তার পিতা মাতা অত্যন্ত গর্বিত এবং সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
নিলুফা আহমদ:
এবারের জিসিএসই পরীক্ষায় পূর্ব লন্ডনের ইস্টহামের বাসিন্দা নিলুফা আহমদ, মেনর ব্রমটন স্কুল থেকে তিনটি বিষয়ে এ স্টার এবং দশটি বিষয়ে এ গ্রেড পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে। নিলুফা আহমদের বাবা হেলাল উদ্দিন আহমদ এবং মাতা সুফিয়া জেসমিন আহমদ মেয়ের এ সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত এবং সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। বাংলাদেশে তাদের বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার চন্দগ্রামে। উল্লেখ্য, নিলুফার দাদা মরহুম মশররফ আলী একজন প্রবীন শিক্ষক ছিলেন। নিলুফা বড় হয়ে একজন রাজনীতিবিদ হতে চায়। সে সকলের দোয়া প্রার্থী।