ব্রেক্সিট উত্তর ব্রিটেনের পথচলার নতুন পরিকল্পনা তেরেসার
প্রশাসনিক সংসার গোছাচ্ছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। সম্ভাব্য মন্ত্রিসভার এটা তালিকাও প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে জিতে গেলেও তিনি ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরই তাকে ব্রেক্সিট বা দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া দেখভাল করা নিয়ে আরও কঠিন সংগ্রামের মুখে পড়তে হবে। ইইউ বাইরে যুক্তরাজ্য কি ভাবে চলবে তার পরিকল্পনা বাতলাতে হবে তাকে। সে ভাবেই তিনি তার প্রশাসনিক কর্মকা-ের ছক আঁকবেন। এছাড়া তাকে স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের নেতৃবৃন্দের বিরোধিতার মুখেও পড়তে হবে। ইইতে থাকার পক্ষে এ দু’টি স্থানের ভোটাররাই বেশি ভোট দিয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যে ২৩ জুনের গণভোটের সময় মে ইইউ’তে যুক্তরাজ্যের থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের পক্ষ জয়ী হওয়ার পর থেকেই তিনি বলে আসছেন, এখন এ রায়কেই এগিয়ে নিতে হবে। ব্রেক্সিট মানে ব্রেক্সিটই। তবে মে এও বলেছেন, লন্ডন আলোচনা শুরুর জন্য তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত না।
ইইউ’র লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা সক্রিয় করার মধ্য দিয়েই ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু সে কাজটি করার কর্তৃত্ব কার এবং সেটি অপরিবর্তনীয় কিনা সে বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। মে গত মাসের শেষদিকে বলেছিলেন, আলোচনা কৌশল কি হবে সেটি স্পষ্ট না হওয়া কিংবা এটি নিয়ে মতৈক্য না হওয়া পর্যন্ত, আর্টিকেল ফিফটি’র ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত না। যার মানে হচ্ছে, এবছর শেষের আগে আর্টিকেল ফিফটি সক্রিয় করা উচিত হবে না। এ কথার মধ্যদিয়ে মে’র সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সংঘাতের পট প্রস্তুত হয়েছে। মার্কেলকে ইইউ’র সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হিসাবেই দেখা হয়ে থাকে। মার্কেল গত সোমবার বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চালানো সহজ হবে না। নতুন প্রধানমন্ত্রী আসা মাত্র লন্ডন ইইউ ত্যাগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করবে বলেই তিনি আশা করছেন। ব্রেক্সিটের পর পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দায়িত্ব ছাড়ার পরই প্রধানমন্ত্রী হবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে। লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত মার্গারেট থ্যাচারের পর মে-ই প্রথম নারী, যিনি যুক্তরাজ্যের সরকার প্রধানের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন।