পৃথিবীর অষ্টম সুখী দেশ বাংলাদেশ
১৪০ টি দেশের মধ্যে পরিচালিত এক গবেষণায় তৈরি সুখী দেশের তালিকায় অষ্টম স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিটেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন শনিবার ওই গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হ্যাপি প্ল্যানেট সূচকে বাংলাদেশ ৩৮ দশমিক ৪ স্কোর পেয়েছে।
তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা কোস্টা রিকার স্কোর ৪৪ দশমিক ৭। আর ১২ দশমিক ৮ স্কোর নিয়ে তালিকার সবচেয়ে নিচে ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে চাদ।
হ্যাপি প্লানেট সুচক তৈরিতে জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন ও আয়ু বিবেচনায় নেওয়া হয়, এগুলো সমানভাবে সবার জন্য প্রযোজ্য কি না দেখা হয়, এর পর এর ফল প্রতিটি দেশের পরিবেশগত উদ্যোগের সঙ্গে মেলাতে হয়।
নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, একটি দেশের নাগরিকদের সন্তুষ্টি, গড় আয়ু, পরিবেশের ওপর প্রভাব ও বৈষম্য- এই চার মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে সুখী দেশের এই তালিকা তারা তৈরি করেছে।
গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, ‘গত ২৫ বছরে মানব উন্নয়নে বাংলাদেশ জোরদার উন্নতি করেছে। ২০১৪ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে লোকবল নিয়োগ দিয়ে সারা বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির মুখে থাকা দেশটির জন্য এটা ছিল আবশ্যিক উদ্যোগ।’
জরিপে বলা হয়েছে জিম্বাবুয়ের মানুষের গড় আয় সমান হলেও বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ূ অন্তত ২০ বছর বেশি।
তালিকায় প্রথম ১০টি দেশ হলো ১. কোস্টারিকা, ২. মেক্সিকো, ৩. কলম্বিয়া, ৪. ভানুয়াতু, ৫. ভিয়েতনাম, ৬. পানামা, ৭. নিকারাগুয়া, ৮. বাংলাদেশ, ৯. থাইল্যান্ড ও ১০. ইকুয়েডর।
তালিকায় সবচেয়ে নিচে থাকা ১০ দেশ : ১৪০. চাদ, ১৩৯. লুক্সেমবার্গ, ১৩৮. টোগো, ১৩৭. বেনিন, ১৩৬. মঙ্গোলিয়া, ১৩৫. আইভরি কোস্ট, ১৩৪, তুর্কমেনিস্তান, ১৩৩. সিয়েরা লিওন, ১৩২. সোয়াজিল্যান্ড ও ১৩১. বুরুন্ডি।