এখনই ইইউ ছাড়ছে না ব্রিটেন
অন্তত তিন বছরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ছে না ব্রিটেন। এই বিলম্বের কারণ আগামী বছর জার্মানি ও ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচন। ফলে ধরে নেয়া যায়, ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই থাকছে ব্রিটেন।
ব্রিটেনের সানডে এক্সপ্রেস জানিয়েছে, সরকারের সিনিয়র সূত্রগুলো বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে আর্টিকেল ৫০ সক্রিয় করার কাজও আগামী বছরের শেষ নাগাদ স্থগিত করতে পারেন। এটা করা হলে ২৮ জাতির ব্লক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে আসার জন্য সমঝোতার জন্য দু’বছর সময় পাবে নতুন সরকার। সে সময়টা হবে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল। এ সময়ের সমঝোতা শেষেই ব্রিটেন বেরিয়ে আসতে পারবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। এ প্রক্রিয়াটি প্রধানমন্ত্রী ঠিক ৫ মাসের মধ্যে শুরু করবেন বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত এই স্থগিত অবস্থায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষ। কারণ, তারা চাইছিলেন খুব দ্রুততার সঙ্গে এ প্রক্রিয়া শুরু হোক।
সিটি অব লন্ডনের একটি সূত্র বলেছেন, আগামী বছর সেপ্টেম্বরে জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচন। মে মাসে নির্বাচন ফ্রান্সে। এ কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার ক্ষেত্রে তেরেসা মে’র সিদ্ধান্ত বিলম্বিত হতে পারে। ওই সূত্র বলেন, যখন আপনি বুঝতে পারছেন না কার সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে তখন কি করে সমঝোতা করবেন। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র মন্ত্রিসভার এক সদস্য জার্মানির নির্বাচনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ওই নির্বাচনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল তার ক্ষমতাসীন সিডিইউ দলকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ক্ষমতায় ফেরানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়া তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক টিমের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক আছে। তারা মনে করছেন ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আর্টিকেল ৫০ সক্রিয় করার জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন না। অন্য একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, মন্ত্রীরা মনে করছেন, এ প্রক্রিয়া ২০১৭ সালের শরৎ পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে। একটি সূত্র বলেছেন, আমি নিশ্চিত নই যে, তারা এ বিষয়ে প্রস্তুত। এ নিয়ে কেবল প্রাথমিক কথাবার্তা হচ্ছে।
ব্রেক্সিট নিয়ে কাজ করছেন ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী লিয়াম ফক্স। কিন্তু নতুন এ টিম এক্ষেত্রে খুব ধীরে অগ্রগতি অর্জন করছে। এ কাজ সম্পন্ন করতে ডেভিড ডেভিসের প্রয়োজন আড়াইশ’ কর্মী। তার মধ্যে তিনি এখন পর্যন্ত দলে ভিড়িয়েছেন অর্ধেকেরও কম। লিয়াম ফক্সের প্রয়োজন এক হাজার জনবল। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত নিয়োগ দিয়েছেন মাত্র ১০০ জনকে।