ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোট নয়
ব্রেক্সিট ইস্যুতে নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। পিছনের দরজা দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নেই থাকার কোন চেষ্টা তার নেই। এ কথা জানিয়ে দিলেন মন্ত্রীপরিষদকে। বললেন, ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয় কোনো গণভোট হবে না। বুধবার তিনি ব্রেক্সিট ইস্যুতে করণীয় নির্ধারণ নিয়ে মন্ত্রীপরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে তিনি বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছেন। তিনি শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেন ‘ইউনিক’ সম্পর্ক খুঁজবে। এর মধ্যে থাকবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ থেকে চমৎকার বাণিজ্য চুক্তি।
বুধবার মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দুটি বিষয়ে দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তা হলো এক. দেশের মানুষের জন্য সর্বোত্তম একটি চুক্তি। দুই. বিদেশে বৃটেনের জন্য যথার্থ একটি চুক্তি।
ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, এর অর্থ হলো ইউরোপ থেকে যেসব মানুষ বৃটেনে আসবেন তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা। যারা পণ্য নিয়ে বাণিজ্য ও সেবাখাতে কাজ করতে চায় তাদের জন্য যেন ইতিবাচক হয় সব কিছু।
মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে তেরেসা মে বলেছেন, তিনি আগামী বছরের আগে ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করবেন না। ফলে সমঝোতা তৈরির জন্য বেশ সময় পাবেন তিনি। মন্ত্রীপরিষদ এ সময় তাকে সমর্থন করেছে। তারা বলেছে, পার্লামেন্টের অনুমোদন বা জাতীয় অনুমোদন ছাড়াই তিনি অনুচ্ছেদ ৫০ উত্থাপন করতে পারবেন। এ সভায় মন্ত্রীরা আরও একমত হয়েছেন যে, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় বৃটেন হবে বিশ্বের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক দেশ। ওদিকে ২৩শে জুনের ব্রেক্সিট ভোটের পর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আস্থা বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলছে। তেরেসা মে’র মুখপাত্র বলেছেন, আর্থিক শৃংখলা ও জীবনমানের উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন মন্ত্রীরা। তেরেসা মে’র সহযোগীরা বলেছেন, মন্ত্রীদের এই পর্যালোচনা, দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এখন প্রধানমন্্রতী তার প্রস্তাবনা তৈরি করবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে সেগুলো তুলে ধরা হবে। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদের মধ্যে যে বিভক্তি রয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন তেরেসা মে। ব্রেক্সিট নিয়ে কাজ করার জন্য তিনজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। তারা হলেন বেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিড। বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী লিয়াম ফক্স ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী বরিস জনসন।