ব্রিটেনে মসজিদে অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্য উদঘাটনে পুলিশী তৎপরতা প্রশ্নবিদ্ধ
তৌহিদুল করিম মুজাহিদ : বৃটেনের এসেক্স এলাকার হার্লো ইসলামী সেন্টারের ফটকে আগ্নিসংযোগকারীরা সফল হতে পারেনি। সেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফোম থাকায় আগুন কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়েছে। তবে ক্ষতি বেশি হয়নি। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজগুলোর প্রতি ইঞ্চি পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
মসজিদ কমিটির সদস্যরা বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। অগ্নিসংযোগের পর মসজিদের ফটকে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনাটিকে এন্টি-মুসলিম আক্রমণ বলে মনে করছেন অনেকে। সম্প্রতি বৃটেনের এসেক্স এলাকার হার্লো ইসলামিক সেন্টারে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া রেহমান বলেন, ভোর ৪টায় ফজরের নামায পড়তে এসে ঘটনাটি ধরা পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে মসজিদের ফটক এবং দেয়াল সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যান আজাইব হোসেইন বলেন, প্রধান ফটকসহ পাঁচটি ফটকে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফোমকে আগুন প্রসারিত করতে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থলের নিকটে ছিল বয়লার। সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পুরো ভবন উড়ে যাওয়া অসম্ভব ছিলনা। স্কাই নিউজের রিপোর্টার রিকায়েল ইওঙ্গার এক রিপোর্টে বলেন, ঘটনাস্থল সম্পূর্ণ সিসি টিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ ফুটেজগুলোর প্রতিটি ইঞ্চি পরীক্ষা করছে। অফিসাররা মনে করছেন রাত ১০টা ৩০ মিনিটের পর এবং ভোর ৪টার আগে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ চীফ ইন্সপেক্টর এড ওয়েলস বলেন, আমরা ঘটনাস্থলেই গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেছি এবং আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগুন জ্বলতে ফোম ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্য ভালো আগুন বেশি ছড়ায়নি। হামলায় জড়িতদের আটক করতে ক্লান্তহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। স্থানীয় প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৮ বছর পূর্বে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্থানীয় অধিবাসীরা এই মসজিদটিতে নিয়মিত নামায আদায় করে থাকেন। বর্তমানে হার্লো মুসলিম কমিউনিটির সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখানে বসবাসকারী মুসলমানরা বর্তমানে অঞ্চলটিতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে সমর্থ হয়েছে।