বিএনপি নেতা হান্নান শাহ আর নেই
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নান শাহ সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াদুল হান্নানের বরাত দিয়ে শামসুদ্দিন বলেন, আজ মঙ্গলবার ভোরে র্যাফেলস হার্ট সেন্টার হাসপাতালের মারা যান বিএনপির এই নেতা। তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
৬ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে তাঁর হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচারও করা হয়।
শামসুদ্দিন দিদার জানান, বিএনপির নেতা হান্নান শাহের মরদেহ আজ আসছে না। কাল বুধবার তাঁর মরদেহ নিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। বাদ এশা সিঙ্গাপুরের অ্যাঙ্গোলিয়া মসজিদে হান্নান শাহের প্রথম জানাজা হবে।
হান্নান শাহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। অবসরের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন থাকার সময় পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।
হান্নান শাহের মৃত্যুতে বিএনপির ৪ দিনের শোক: আ স ম হান্নান শাহের মৃত্যুতে চার দিনের শোক প্রকাশ করেছে দলটি। একই সঙ্গে খোলা হয়েছে শোক বই।
হান্নান শাহের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রকাশ করবে। প্রতিদিনই রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। আগামী শুক্রবার সারা দেশে দোয়া মাহফিল করা হবে।
এদিকে আজ সকালে নয়াপল্টনে শোক বই খোলা হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ বই খোলা থাকবে।
জ্যেষ্ঠ এ নেতার মৃত্যুতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে।