কুয়েতে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত
কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহ দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন।পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। এর ফলে দেশটিতে আগাম নির্বাচনের দিতে হবে। বিবিসি বলছে, তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আইনপ্রণেতাদের মতবিরোধের জেরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ঘটনাকে সহযোগিতার ঘাটতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়েই তেলের দাম কমে গেছে। এর ফলে কুয়েতের সরকার কিছু সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে পেট্রলের দাম ৮০ ভাগ বাড়ানোর বিষয়টিও রয়েছে। এর ফলে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়।
আগামী বছরের জুলাইয়ে সরকারের চার বছর পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। দেশটির পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের সরকারপন্থী বলে মনে করা হয়। কিন্তু আইনপ্রণেতারা তেলের মূল্যে নিয়ে মন্ত্রীদের কাছে জানতে চাওয়ার ব্যাপারে তিনটি অনুরোধ জানালেও একটিও রাখা হয়নি। রবিবার বিকালে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহ এক জরুরি সরকারি বৈঠকের পর ওই অঞ্চলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিষদ বা পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে ডিক্রি জারি করেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, পুরো মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেছে। উপসাগরীয় অঞ্চলে কুয়েতের পার্লামেন্ট সবচেয়ে ক্ষমতাধর হলেও শাসক আল-সাবাহ পরিবারই দেশটির সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। এর আগেও দেশটিতে একাধিকবার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে।