ইসরাইলের অবৈধ উপনিবেশ স্থাপন একটি বিকৃত বাস্তবতা : ইউনেস্কো
আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ড নিয়ে ইউনেস্কোর খসড়া রেজুলেশন পাসকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনী নেতারা। একই সঙ্গে তারা খসড়া রেজুলেশন নিয়ে ইসরাইলের সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র এ স্থানটিতে ইহুদিদের তথাকথিত বন্ধন সত্যের অপপ্রলাপ।
এ খসড়া রেজুলেশন পাস করার জন্য শুক্রবার ইউনেস্কোর সহযোগিতা স্থগিত করে ইসরাইল। মুসলিমদের পবিত্র এ স্থানটিতে প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ এবং ইসরাইলি পুলিশ ও সৈন্যদের আগ্রাসনের জন্য জাতিসংঘের এ সাংস্কৃতিক সংগঠনটি দেশটির তীব্র সমালোচনা করার একদিন পর এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এ রেজুলেশনে ইসরাইলকে একটি দখলদার শক্তি হিসেবে স্বীকৃত দেয় ইউনেস্কো।
রেজুলেশনকে স্বাগত জানিয়ে ফিলিস্তিনী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই রেজুলেশন পাসের মাধ্যমে ইসরাইলের দায়মুক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে এবং ইউনেস্কোর সমুন্নত নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ইসরাইলের অবৈধ উপনিবেশ স্থাপন একটি বিকৃত বাস্তবতা। দখলদার ইসরাইলী শক্তিকে অবশ্যই অবৈধ কর্মকা- এবং ফিলিস্তিনের ভূমি বিশেষত পূর্ব জেরুসালেমের ভূমি দখল থেকে বিরত থাকতে হবে।’
এছাড়াও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভার সমালোচনা করেন। বৃহস্পতিবার ওই রেজুলেশন পাসের জন্য ভোটদান থেকে তিনি নিজেকে বিরত রাখেন।
এদিকে, এক বিবৃতিতে ইরিনা বোকোভা জানায়, জেরুজালেমের ঐতিহ্য অবিভাজ্য এবং তার প্রতিটি সম্প্রদায়ের তাদের ইতিহাসের স্পষ্টত স্বীকৃতি পাওযার এবং শহরটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অধিকার আছে।’
জবাবে মালিকি বলেন, ‘বোকোভাকার বিবৃতি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’
মালিকি বলেন, ‘ফিলিস্তিনী সরকার প্রত্যাশা করে সদস্য রাষ্ট্রের ইচ্ছা বাস্তবায়নের উপর বোকোভা তার প্রচেষ্টা ফোকাস করবেন ও ইসরাইলী নিয়মানুগ উপনিবেশ স্থাপন থেকে জেরুজালেম সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবেন।’
আলজেরিয়া, মিসর, লেবানন, মরক্কো, ওমান, কাতার ও সুদান এ রেজল্যুশনটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন। রেজুলেশনের পক্ষে ২৪ ভোট, বিপক্ষে ৬ পড়ে এবং ২৬টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউনেস্কোর রেজুলেশনের নিন্দা জানিয়েছে।
এস্তোনিয়া, জার্মানি, লিথুয়ানি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। অন্যদিকে চীন, রাশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানসহ ২৪টি দেশ এর পক্ষে ভোট দেয়।