চূড়ান্ত রায়ে মুরসির ২০ বছরের কারাদণ্ড
মিসরের একটি আদালত চূড়ান্ত রায়ে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসির ২০ বছরের কারাদণ্ড নিশ্চিত করেছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত হয় বলে দেশটির বিচার বিভাগীয় একটি সূত্র জানিয়েছে। ২০১২ সালে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনায় মুরসিকে দোষী সাব্যস্ত করে এই দণ্ড দেওয়া হয়। মুরসিকে দেওয়া চারটি দণ্ডের মধ্যে এই প্রথম কোনো দণ্ডের সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এই দণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি আর আপিল করতে পারবেন না।
তৎকালীন ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্য বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকের বিরুদ্ধেও ২০ বছরের কারাদণ্ড নিশ্চিত হয়েছে। এদের মধ্যে মোহামেদ এল- বেলতাগি এবং এসাম এল-এরিয়ানও রয়েছেন।
২০১৫ সালের এপ্রিলে এই নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মিসরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরতদের অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুড বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
মিসরের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুরসি অন্য তিনটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। এসবের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে গড়ে ওঠা গণঅভ্যুত্থানের সময় জেল ভেঙে পালানোর ঘটনায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও ফিলিস্তিনী গোষ্ঠী হামাসের পক্ষে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মিসরের প্রথম অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ব্রাদারহুডের মুরসি। কিন্তু ২০১৩ সালে গণঅসন্তোষের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরীয় সেনাবাহিনী।
এরপর মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন চালায় সেনা-সরকার। এক পর্যায়ে মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। মুরসি ছাড়াও সংগঠনটির হাজারা হাজার নেতাকর্মী কারাবন্দী আছেন। বিভিন্ন অভিযোগে এদের অনেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।