হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল কমিটি গঠনের প্রতিবাদে আব্দুল্লা মুকিবের কুশপুত্তলিকা দাহ

habigonj-bnpসৌদি বিএনপি সভাপতি আহমেদ আব্দুল্লা মুকিবের প্ররোচনায় কেন্দ্র ঘোষিত হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বাঁচাও ছাত্রদলের ব্যানারে গত ২০ অক্টোবর দুপুরে হবিগঞ্জ শহরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শেষে স্থানীয় মুসলিম কোয়াটার মোড়ে আব্দুল্লা মুকিবের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদ-প্রতিরোধে উত্থাল হয়ে উঠে হবিগঞ্জ শহর।
গত ১৩ অক্টোবর ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত সুপার টেন জেলা ছাত্রদল কমিটি ঘোষণার পর পরই হবিগঞ্জ জেলার সর্বস্থরের দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রচন্ড বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েন।
ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতারা অভিযোগ করে বলেন যে, ‘‘তাদের সঙ্গে কোন আলাপ-আলোচনা ছাড়াই সৌদি আরব বিনপি’র সভাপতি আহমেদ আব্দুল্লা মুকিব কেন্দ্রকে ভুল বুঝিয়ে সম্পুর্ণ অস্বচ্ছ, অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দূর্বল এক কমিটি গঠন করিয়ে হবিগঞ্জের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলেছেন। আমরা ৯৮ ব্যাচ পর্যন্ত নেতৃত্ব নির্বাচন এবং বিবাহিতরা কেন্দ্রীয় সীমাবদ্ধতার কারনে ছাত্রদল থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। তারপরও আমাদের সঙ্গে কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাদের বাদ দিয়ে অস্বচ্ছ, অগঠনতান্ত্রিক কমিটি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাদেরকে অন্যায়ভাবে বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষণা করায় নেতা-কর্মীরা প্রচন্ড ক্ষুব্দ-বিক্ষুদ্ধ। আমরা মনে করি ঘোষিত কমিটি বিলুপ্ত করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যোগ্য নেতাদের নেতৃত্বে ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়া হোক।’’
নেতারা অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্র ঘোষিত জেলা ছাত্রদল কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আব্দুল্লা মুকিবের পৈত্রিক নিবাস শিবপাশা গ্রামে। গ্রাম্য রাজনীতি ও ঘনিষ্ট আত্মীয়তার অটুট বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে তাদেরকে কমিটিতে নিয়ে আসা হয়। হবিগঞ্জ জেলা শহরের ভাসমান, দূর্বল ও ভীরু নেতৃত্ব দিয়ে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের কঠিন সময়ের বৈতরনী পাড়ি দেয়া নিশ্চিত আত্মহত্যার সামিল।
আহমেদ আব্দুল্লা মুকিব কোন সময়ই কোন পর্যায়ের দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না অভিযোগ করে নেতা-কর্মীরা বলেন, প্রবাস জীবনে হঠাৎ করে কালো টাকার মালিক হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারে সিদ্ধহস্ত হয়ে পড়েন।
নেতারা মনে করেন হবিগঞ্জের দলীয় অভ্যন্তরীন রাজনীতির প্রতিটি বিষয়ে উপর্যুপুরি নগ্ন হস্তক্ষেপের এক পর্যায়ে জেলা ছাত্রদলকে দূর্বল করে চলমান ফ্যাসিষ্ট সরকার বিরোধী আন্দোলনের পিঠে ছুরিকাঘাত করার জন্য এই কমিটি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বিএনপি’র ভাবমূর্তি প্রচন্ডভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এই বিতর্কিত কমিটির ফলে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিকে এক গভীর সংকটে পতিত করেছে। মুকিবের এহেন কার্যকলাপ ও অন্যায় হস্তক্ষেপ থেকে মুক্তির জন্য বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
habigonj-bnp2

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button