‘ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে বিশ্ব পুঁজিবাজারে ধস নামবে’
আগামীকাল ৮ নবেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্ববাসীর নজর এখন মার্কিন এই নির্বাচনের দিকে। তেমনই মার্কিন পুঁজিবাজার তথা বিশ্বপুঁজিবাজারও চেয়ে আছে হিলারি-ট্রাম্পের বিজয়ের দিকে। প্রশ্ন একটাই- হিলারি না ট্রাম্প? কে হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ, এ নির্বাচন ঘিরেই বিশ্ব অর্থনীতিও দুলতে পারে। তবে ট্রাম্প বিজয়ী হলে বিশ্ব পুঁজিবাজারে নেমে আসতে পারে কালোছায়া।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, রিপাবলিকান দল জিতলে তা আর্থিক খাতে অনিশ্চয়তা ডেকে আনবে। পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ফলাফল আর্থিক খাতের জন্য অবাক হওয়ার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
ব্যাংকটি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ট্রাম্প যদি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে বাজারে এসএন্ডপি ৫০০ সূচকের ৩ থেকে ৫ শতাংশ পতন হবে। অন্যদিকে হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হলে বাজার নেতিবাচক হওয়ার আশঙ্কা কম।
রাশিয়া ছাড়া বিশ্ব মিডিয়া হিলারির বিজয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। টিভি বিতর্ক এবং তার পরবর্তী সময় পর্যন্ত হিলারি জনমত জরিপে অনেক এগিয়ে ছিলেন। আর এ কারণেই মার্কিন বাজারসহ বিশ্ব পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। কিন্তু গত সপ্তহে দু’একটি জরিপে ট্রাম্প এগিয়ে ছিল এমন সংবাদ প্রচারে পুঁজিবাজারে সূচক কমতে থাকে। এনিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারিরা রয়েছে নানা আতঙ্কে। এ আতঙ্ক কাটতে আরও সময় লাগবে বেশ কিছু দিন। তবে ট্রাম্পের বিজয়ে বাজারে কি ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সিটির প্রধান মার্কিন ইক্যুইটি বিশেষজ্ঞ তবিয়াস লেভকোভিস জানান, বিনিয়োগকারীদের সেপ্টেম্বরের জরিপই বলে দিয়েছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওয়াল স্ট্রিট মার্কেট হিলারিকে চায়। সিটি মনে করে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারির জয়ের সম্ভাবনা ৭৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, ট্রাম্প যদি কোনোভাবে জয়ী হন তবে তা হবে অপ্রত্যাশিত এবং তা ইক্যুইটি মার্কেটের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেবে। সারা বিশ্বে লাখ লাখ শেয়ার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমনিতেই বিশ্ব কয়েক দফায় মন্দার কবলে পড়ে। আর এ মন্দার কবল থেকে এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব বাজার। এ অবস্থায় যদি ট্রাম্পের কম একজন যুদ্ধবাজ লোক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন তাহলে বাজারে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে করে লাখ লাখ ব্যবসায়ী পুঁজি হারাতে পারেন। আর একারণেই গোটা বিশ্বে পুঁজিবাজার এখনও থমকে রয়েছে। নির্বাচনের পরেই বুঝা যাবে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে না ধসের কবলে পড়বে। এসব চিন্তাভাবনা করেই পা ফেলছে মার্কিন ভোটাররা।