মার্কিন নির্বাচনের খরচ কত?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ও ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার খবরের পাশাপাশি তাদের ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করছে সংবাদ মাধ্যমগুলো। এসব প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, সিনেট ও কংগ্রেসের ব্যয় ও দাতাদের নিয়ে চলছে আলোচনা।
দ্য সেন্টার ফর রেসপন্সিভ পলিটিকস (সিআরপি) নামক গবেষণা সংস্থার মতে, এবারের নির্বাচনের ব্যয় ৬৬০ কোটি (৬.৬ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে কম খরচ ধরে এ পরিমাণ ব্যয় হবে। বাস্তবে এ ব্যয় ছাড়িয়ে যাবে।
সিআরপি জানায়, গত নির্বাচনের তুলনায় এবারের ব্যয় অন্তত ৮কোটি ৬৫ লাখ ডলার বেশি হবে। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে এ হিসেব তৈরি করা হয়েছে। সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শেইলা ক্রুমহলজ বলেন, ‘এবারের প্রচারণা অতীতের অনেক রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। এটুকু অন্তত এখনই আমরা বলতে পারি যে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন হচ্ছে এবার।’ শেইলা আরও বলেন, ‘এবার আমরা দেখেছি ছোট ছোট দাতাদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তবে বড় দাতাদের তথ্য গোপনের সংখ্যা এবার কমে গেছে। সর্বোপরি গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতাটা বিদ্যমান আছে, নির্বাচনে অভিজাতদের দাতাদের আরও বেশি অর্থ আসছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীদের অর্থায়ন বাড়বে। এতে ভোটের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। যার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে নির্বাচনে।’
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত হিলারির তহবিলে সংগ্রহ হয়েছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ট্রাম্পের তহবিলে জমা পড়েছে ৭৯৫ মিলিয়ন ডলার। হিলারির এ অর্থের মধ্যে নিজের প্রচারণা থেকে সংগ্রহ হয়েছে ৫৫৬ মিলিয়ন ডলার, দল ও যৌথ তহবিল গঠন কমিটির মাধ্যমে এসেছে ৫৪৪.৪ মিলিয়ন এবং বিশেষ দাতাদের কাছ থেকে এসেছে ১৮৮ মিলিয়ন। আর ট্রাম্প নিজের প্রচারণা থেকে সংগ্রহ করেছেন ২৪৮.৩ মিলিয়ন, দল ও যৌথ কমিটির মাধ্যমে ৪৮৬.৭ মিলিয়ন এবং বিশেষ দাতারা দিয়েছেন ৬০.১ মিলিয়ন।
টাইমের এক প্রতিবেদন অনুসারে, দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর খরচের ক্ষেত্রে রাজ্যভেদে ভিন্নতা রয়েছে। হিলারি ফ্লোরিডা, নেভাদা এবং ওহাইয়োতে টিভি বিজ্ঞাপনে ব্যয় করছেন বেশি। আর ট্রাম্প তার অর্থ কোলোরডো, ফ্লোরিডা ও নেভাদাতে। তবে উভয় প্রার্থীই ওরলান্ডো ও ফ্লোরিডাতে খরচ করছেন বেশি।
এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে দামি ভোটার হতে যাচ্ছেন আরিজোনা ও কোলোরডো রাজ্যের ভোটাররা। প্লানেট মানি নামক সংস্থার হিসেবে আরিজোনা গ্রীনলি কাউন্টিতে একেকটি ভোটের বিপরীতে ৪০ ডলার খরচ করছেন প্রার্থীরা।
সিআরপির মতে, এবারের নির্বাচন ব্যয়ের মধ্যে ৫৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করছে রিপাবলিকানরা। বিপরীতে ৩৭ শতাংশ ব্যয় করছে ডেমোক্র্যাটিকরা। এতে পার্টির ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।