ইউনাইটেড এয়ারের সব প্লেন সরানোর নির্দেশ
বিমানবন্দর থেকে সরাতে হবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বন্ধ থাকা সব উড়োজাহাজ। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিকে এ নির্দেশ দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, নষ্ট উড়োজাহাজে বিমানবন্দরের স্থান আটকে রাখায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে তাদের সবগুলো উড়োজাহাজ সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ১১টি উড়োজাহাজ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ভাড়া করা এবং বাকি ৯টি উড়োজাহাজ নিজস্ব। সেগুলোর মধ্যে ৫টিই নষ্ট। আরেকটি ভারতের বিমানবন্দরে রয়েছে। বেবিচক জানায়, সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানি তাদের ফ্লাইটে বেশ কয়েকটি নতুন উড়োজাহাজ যোগ করেছে। এ কারণে বিমানবন্দরে জায়গা হচ্ছে না। অন্যদিকে এসব জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহূত রয়েছে ইউনাইটেডের উড়োজাহাজগুলো। এ ছাড়া কোম্পানিটি বকেয়া টাকাও সরকারকে পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ইউনাইটেডের উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে টারমাক খালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটি একটি বন্ধ এয়ারলাইনস। তাদের নষ্ট ও অচল এয়ারক্রাফট বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও টারমাক দখল করে রেখেছে। নতুন নতুন এয়ারক্রাফট দেশি এয়ারলাইনসগুলোতে যোগ হওয়ায় স্থানের সংকুলান হচ্ছে না। তাই তাদের উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে নিতে সরকার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এর সঙ্গে সরকারের পাওনা উদ্ধারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা। বকেয়া টাকা আদায় সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি এখানে আসার আগেই ইউনাইটেড এয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওনা উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছে বেবিচক। কিন্তু একটি বন্ধ এয়ারলাইনসের কাছ থেকে কীভাবে টাকা উদ্ধার হবে তা নিয়ে কৌশল নির্ধারণ ও সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রয়োজন। জানা গেছে, কোম্পানির কাছে ল্যান্ডিং, পার্কিং ও নেভিগেশন চার্জসহ অন্যান্য পাওনা রয়েছে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। এ পাওনা টাকা আদায় করতে কোম্পানিকে ছয় থেকে সাত দফা চিঠি দিয়েছে বেবিচক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোম্পানিটি টাকা পরিশোধ করেনি। উপরন্তু কোম্পানিটি বিদেশ থেকে ৪০০ কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ারের বিনিময়ে আরও সাতটি উড়োজাহাজ আনছে বলে জানা গেছে।