যুক্তরাষ্ট্রে নারী নেতৃত্ব এবং হুমায়ূন আহমেদ
আসিফ আরসালান: ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গবেষণার শেষ নাই। বিশ্ব জুড়েই এই গবেষণা চলছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এই গবেষণা চলবে আগামী বছর অন্তত ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ঐ দিন তিনি হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করবেন, অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। অনেকে বলছেন, তার অভ্যন্তরীণ নীতি এবং বিদেশ নীতি স্পষ্ট নয়। সেটি স্পষ্ট হতে সময় লাগবে। দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর অন্তত ৬ মাস সময় লাগবে তার বিভিন্ন নীতি পরিষ্কার হতে। এটিই স্বাভাবিক। কারণ তিনি জীবনে কখনোই রাজনীতি করেননি। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনভাবেই তিনি রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। তার কোন মতাদর্শও কেউ জানে না। হয়ত তিনি নিজেও জানেন না, কোন ইস্যুতে কি করতে হবে। তারপরেও মানুষের কিছু কিছু রাজনৈতিক চিন্তাধারা থাকে। ট্রাম্পেরও হয়ত আছে। কিন্তু যখন তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে যাবেন, তখন অনেক জায়গাতেই হোঁচট খাবেন। কারণ চিন্তা, কল্পনা এবং বাস্তবে অনেক গরমিল রয়েছে। যখন তিনি প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসে বসবেন তখন তিনি সেগুলো বুঝতে পারবেন। তাই এখন অনেক অস্পষ্টতা থাকলেও আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ট্রাম্প কেন জিতলেন আর হিলারি কেনো হারলেন, এই নিয়ে সর্বত্র গবেষণা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো কোনো মন্ত্রি যখন হিলারির পরাজয়ের জন্য বিশেষ বিশেষ কারণ আবিষ্কার করেন তখন হাসবো না কাঁদবো, বুঝতে পারি না। পাঠক, আপনারাই দেখুন এ সম্পর্কে মন্ত্রীর মন্তব্য। বিএনপিকে সমর্থন করার কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হেরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়ী চেকপোস্ট মাঠে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে গত ১০ নবেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে, আমাদের সময় ডট কমে। খবরে আরও বলা হয়, মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে বিএনপি প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল। বিএনপি সমর্থন করার কারণেই ওই প্রার্থী হেরে গেছেন। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে গেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন। একজন মন্ত্রী যে এ রকম কথা বলতে পারেন সেটি পত্রিকা না পড়লে বিশ্বাস করতাম না। এ বিষয়ে অধিক মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এবং পরে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটছে যে সেগুলো যদি না ঘটত তাহলে বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। তাই বলে সেসব ঘটনার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিতে গিয়ে অতিরঞ্জন অবশ্যই কাম্য নয়। হিলারি হেরে গেছেন। এটি তার সমর্থকরা সহজে মেনে নিতে পারছেন না। প্রথমে তারা কান্নাকাটি করেছেন, এখন তারা রাজপথে নেমেছেন। তারা বলছেন যে ট্রামকে তারা প্রেসিডেন্ট মানেন না। রাজপথে নেমে তারা গাড়ি ভাঙচুর করছেন, গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করছেন, এমনকি জাতীয় পতাকাও পোড়াচ্ছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সংস্থা বলছে যে, তারা মার্কিন ফেডারেশন থেকে বেরিয়ে আসতে চান এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে চান। জাতীয় পতাকা পোড়ানো এবং ক্যালিফোর্নিয়ার বিচ্ছিন্নতার আওয়াজের কারণে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। তাই বলে আমেরিকা ভেঙে যাবে বলে জল্পনা কল্পনা করাটা অপরিপক্বতার পরিচায়ক।
বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকায় বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে দেশটির বৃহত্তম অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার পছন্দের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়ায় ঐ রাজ্যে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে। মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেকটরাল ভোটের অধিকারী হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া। সেখানে হিলারি ক্লিনটন বিজয়ী হওয়ার পরও প্রেসিডেন্ট হতে ব্যর্থ হয়েছেন। এরপরই ‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইনডিপেনডেন্স ক্যাম্পেইন’ নামে একটি সংগঠন স্বাধীন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এ প্রক্রিয়া পরিচিতি পেয়েছে ‘ক্যালেক্সিট’ নামে। গত জুলাইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের আলাদা হওয়ার প্রক্রিয়া ‘ব্রেক্সিটে’র নাম অনুসরণ করেই এই নাম দেয়া হয়েছে। এই সংগঠন ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে ক্যালিফোর্নিয়াকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সংগঠনটি এই অঙ্গরাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য বেশ আগে থেকেই প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া সংগঠনের প্রধান লুইস ম্যারিনেলি বলেছেন, এখন এ অঙ্গরাজ্যের বহু মানুষ তাদের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন। অনেকেই স্বাধীনতার জন্য গণভোট চেয়ে তাঁদের তৈরি দাবিনামার অনলাইন সংস্করণ দেখতে চেয়েছেন বলে তিনি জানান।
॥ দুই ॥
আগেই বলেছি যে ট্রাম্প কেনো জিতলেন আর হিলারি কেনো হারলেন সেটি নিয়ে দুনিয়াব্যাপী ব্যাপক গবেষণা চলছে। এর মধ্যে একটি পয়েন্ট হলো এই যে, আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স না হলে কোনো দল বা ব্যক্তিকে মার্কিনিরা ২টি মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় বসায় না। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৩ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। অথচ হিলারির বিশেষ কোনো ক্যারিশমা নাই, যেটি জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারে। বারাক ওবামাও তার ৮ বছরের রাজত্বকালে এমন কিছু করে দেখাতে পারেননি যেটি ভোটারদেরকে একই দলে তৃতীয়বার ভোট দেওয়ায় উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তারপরেও হিলারির পক্ষে জনমত প্রতিফলিত হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও তিনি হেরে গেছেন।
তিনি হেরে যাওয়ার একটি কারণ হলো ইলেক্টোরাল ভোট নামে এক অদ্ভুত নির্বাচনি পদ্ধতি। আমেরিকায় জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। তিনি পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত করার জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ইলেক্টোরাল কলেজ বা নির্বাচকম-লী গঠিত হয়। এদের সংখ্যা ৫৩৮। আমেরিকার ৫০ টি রাজ্যের প্রত্যেকটি রাজ্য থেকেই নির্বাচকম-লী নির্বাচিত হন। কোন রাজ্য থেকে কতজন নির্বাচকমন্ডলী নির্বাচিত হবেন সেটা নির্ধারণ করা আছে জনসংখ্যার ভিত্তিতে। যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানকার জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্বাচকমন্ডলীর সংখ্যা হলো ৫৫। আলাস্কা, দেলওয়ার, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া, মন্টানা, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, উইমং প্রভৃতি রাজ্যে জনসংখ্যা সবচেয়ে কম। এসব রাজ্যের প্রতিটির নির্বাচক ম-লরি সংখ্যা ৩। একটি রাজ্যে নির্বাচকম-লী পদের জন্য একাধিক দল থেকে প্রার্থী দেয়া হয়। যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচকম-লীর আসনে জয়লাভ করে সেই দল ঐ রাজ্যের সবগুলি আসনে জয় লাভ করেছে বলে ধরে নেয়া হয়। এটিকে ইংরেজিতে বলা হয়, ডরহহবৎ ঃধশবং রঃ ধষষ. উদাহরণ স্বরূপ, ক্যালিফোর্নিয়ায় আছে ৫৫টি আসন। এর মধ্যে যে দল ২৩টি আসনে জয়লাভ করবে সেই দল ৫৫টি আসনের সবগুলিতেই জয়লাভ করেছে বলে ধরা হয়। এই ফর্মুলায় হিলারি ক্যালিফোর্নিয়ায় পেয়েছেন ৫৫টি আসন, নিউইয়র্কে পেয়েছেন ২৯টি আসন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প টেক্সাসে পেয়েছেন ৩৮টি আসন, ওহায়োতে পেয়েছেন ১৮টি আসন, ফ্লোরিডাতে ২৯টি আসন ইত্যাদি। এভাবে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ইলেকটোরাল ভোট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়লাভ করেছেন ৩০টি রাজ্যে। আর হিলারি ক্লিনটন জয়লাভ করেছেন ২০টি অঙ্গরাজ্যে। কিন্তু ৫০টি রাজ্যের সম্মিলিত প্রত্যক্ষ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। তারপরও বেচারি হেরে গেছেন। তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভবনা বলি হয়েছে ইলেকটোরাল ভোটিংয়ের মার প্যাঁচে।
॥ তিন ॥
মার্কিন প্রেসিডেন্সির ২২৭ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। এই ২২৭ বছরে একজন নারীকেও আমেরিকা তাদের প্রেসিডেন্ট বানায়নি। অথচ তারা সবচেয়ে উন্নত এবং সভ্যতার দেশ বলে দাবিদার। তাদের মুখে নারীর ক্ষমতায়নের গালভরা বুলি। সে তুলনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মহিলা (শেখ হাসিনা), প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী মহিলা (বেগম খালেদা জিয়া), জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেত্রী মহিলা (রওশন এরশাদ), স্পিকার মহিলা (শিরিন শারমিন চৌধুরী), জাতীয় সংসদে সরকারি দলের ডেপুটি লিডার মহিলা (বেগম সাজেদা চৌধুরী)। পাকিস্তানে বেনজীর ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ভারতে হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন মহিলা (প্রতিভা পাতিল)। বোঝা গেল, মার্কিনীরা মহিলাকে প্রেসিডেন্ট মেনে নেয়ার মত মানসিকতা এখনো তৈরি করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের একটি উক্তি স্মরণীয়। তিনি বলেছেন, আগামী একশত বছরের মধ্যেও আমেরিকায় কোনো নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। তার ‘মে ফ্লাওয়ার’ নামক উপন্যাসে তিনি লিখেছেন, “আমরা আমাদের দেশে একজন মহিলা রাষ্ট্র প্রধানের কথা চিন্তা করতে পারি। ভাবতে পারি। ওরা তা পারে না। আসছে একশ’ বছরেও এই আমেরিকায় কোনো মহিলা প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হবে না। অতি সুসভ্য এই দেশ তা হতে দেবে না।” যুক্তরাষ্ট্রে লেখকদের একটি সম্মেলনে যোগ দেয়ার অভিজ্ঞতার নানা বর্ণনা এসেছে এ বইয়ে। প্রাসঙ্গিকভাবে তিনি লিখেছেন অন্যান্য বিষয়ও।
ওই বইতে হুমায়ূন আহমেদ আরো লিখেছেন, “একটি আমেরিকান পরিবারের জীবনচর্চা চিন্তা করলেই কষ্ট হয়। ওরা কি হারাচ্ছে তা বুঝতে পারে না। আমরা যারা বাইরে থেকে আসি তারা বোঝাতে পারি কিংবা বোঝার চেষ্টা করি। আমি আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় যা বুঝেছি তা হলো, এদের সবার চিন্তাভাবনা সীমাবদ্ধ। বস্তুকেন্দ্রিক। একটি মেয়ের জীবনের সর্বোচ্চ আকাক্সক্ষা হলো চিয়ার লিডার হবে। ফুটবল খেলার মাঠে স্কার্ট উঁচিয়ে নাচবে। স্কাটের নিচে তার সুগঠিত পদযুগল দেখে দর্শকরা বিমোহিত হবে। এই তার সবচেয়ে বড় চাওয়া। একটি ছেলে চাইবে মিলিওনিয়ার হতে। এই অতি সভ্য দেশে আমি দেখি মেয়েদের কোনো সম্মান নেই। একজন মহিলাকে তারা দেখবে একজন উইম্যান হিসেবেই। একটি মেয়ের যে মাতৃরূপ আছে, যা আমরা সব সময় দেখি, ওরা তা দেখে না। একটি মেয়ে যতদিন পর্যন্ত শারীরিকভাবে আকর্ষণীয়, ততদিন পর্যন্তই তার কদর। যা কিছু হাস্যকর, তার সবই এদের ভাষায় মেয়েলি, এফিমিনেট। শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য, এই দেশে মেয়েরা একই যোগ্যতায় একই চাকরিতে পুরুষের চেয়ে কম বেতন পান। বিমানের ক্যাপ্টেন যদি মহিলা হন তাহলে বিমানের যাত্রীদের তা জানানো হয় না। ক্যাপ্টেন পুরুষ হলে তবেই শুধু বলা হয়- আমি অমুক, তোমাদের বিমানের ক্যাপ্টেন। মহিলা ক্যাপ্টেনের কথা বলা হয় না। কারণ, মহিলা বিমানের দায়িত্বে আছেন জানলেই যাত্রীরা বেঁকে বসতে পারেন। আমাদের দেশে মেয়েদের অবস্থা খারাপ, তবু একজন মহিলা ডাক্তার একজন পুরুষ ডাক্তারের মতোই বেতন পান। কম পান না।”
আজও যে দেশের মানসিকতা এই পর্যায়ে, সেই দেশে কোনো মহিলা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হবেন কিভাবে? হিলারি ক্লিনটনও তাই প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। সোনা যাচ্ছে, আগামী বার নাকি বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়বেন। তিনিও প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।