রাস্তা ছাড়ছে না বিরোধীরা, বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ

৩০ লাখ অভিবাসীকে দেশছাড়া করবেন ট্রাম্প

Tramp২০ থেকে ৩০ লাখ অভিবাসীকে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির প্রথম বলি বানাতে চাইছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে জয়ের পর সংবাদমাধ্যমকে দেয়া প্রথম দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যার ওই অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেবেন তিনি। বিকল্প হিসেবে ওই অভিবাসীদের কারাগারে রাখার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। সিবিএস টেলিভিশনের ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ক্রিমিনাল রেকর্ডধারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অনিবন্ধিত অভিবাসীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখের মতন। এদের একটা বড় অংশ এসেছে মেক্সিকো থেকে। এই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিতে অগ্রাধিকার পেয়েছিলো। প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অভিবাসীদের বিরুদ্ধেই প্রথম হুঙ্কার ছাড়লেন তিনি।
রোববারের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যেটা করতে যাচ্ছি তা হল যেসব লোকের ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে, যারা অপরাধী চক্রের সদস্য, মাদক কারবারি, এদের সংখ্যা প্রচুর, সম্ভবত ২০ লাখ, ৩০ লাখও হতে পারে, আমরা তাদের দেশ থেকে বের করে দেব অথবা কারারুদ্ধ করব।’ সিবিএস টিভি, রয়টার্স, জিও নিউজ।
ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির আরেকটি অগ্রাধিকার ছিল মেক্সিকোতে দেওয়াল নির্মাণ। সিবিএস টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরির পরিকল্পনা থেকে তিনি আংশিক সরে যেতে পারেন।
‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগানকে নির্বাচনি প্রচারণার অস্ত্র করেছিলেন ট্রাম্প। তার এই মহান আমেরিকা দিয়ে তিনি সেই কলম্বাসের আবিষ্কৃত আমেরিকাকে বুঝিয়ে থাকেন; যা শ্বেতাঙ্গ আাধিপত্যেরই নামান্তর। কালজয়ী ঐতিহাসিক হাওয়ার্ড জিন তার ‘পিপলস হিস্টরি অব আমেরিকা’য় লিখেছেন কিভাবে আদিবাসীদের ওপর হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে এই কথিত আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য কায়েম করা হয়েছিল আর তার নাম দেয়া হয়েছিল আমেরিকা আবিষ্কার।
সেই শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের রাজনীতির বিপরীতে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে স্থাপন করেছেন ট্রাম্প। তাদের মধ্যকার বিভক্তিকে সামনে আনতে চেয়েছেন। মেক্সিকোর সীমান্ত নয় কেবল, মানুষের মনের মধ্যে থাকা বিভক্তির দেয়ালকে উসকে দিতে চেয়েছেন তিনি। আর তাতে সফল হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। তবে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের খবর প্রকাশের পরপরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিভিন্ন স্থানে ‘নট মাই প্রেসিডেন্ট’, ‘টাইম টু রিভল্ট’, ‘ফ্যাসিস্ট ট্রাম্প’, ‘রেজিস্ট রেসিজম’, ‘নো ট্রাম্প’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষজন বিক্ষোভে নেমেছেন, যা সাম্প্রতিক মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন।
ট্রাম্প-শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ
আমিন আশরাফ: চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অচিরেই দুই নেতা এক অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আলোচনার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন।
চীনা গণমাধ্যম জানায়, নব নির্বাচিত আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে শি জিনপিং বলেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন দুই দেশেরই পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের মধ্যকার সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। আর বৈশ্বিক অর্থনীতির মানোন্নয়নে গতি আনতে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিতকে আরো শক্তিশালী করতে উভয়কেই এগিয়ে আসতে হবে।
ট্রাম্প শি জিনপিংকে বলেন, আমেরিকা ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক মজবুত করার জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দৃঢ় অঙ্গীকার রাখেন।
মুসলিমদের হয়রানি বন্ধের আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের ওপর হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন সদ্যনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার সিবিএস টেলিভিশনের ৬০ মিনিটস নামের এক অনুষ্ঠানে সমর্থকদের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান রিপাবলিকান দলের এই প্রার্থী। খবর- সিএনএনের। নির্বাচনী প্রচারণার সময় আমেরিকায় মুসলিমদের ব্যান করে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউজ দখলের পর নিজের ওয়েবসাইট থেকেই মুসলিম ব্যান শব্দটি সরিয়ে দেন তিনি। আর এবার তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে ওই আহ্বান জানালেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর থেকে আমেরিকায় মুসলিমসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষজনদের হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, আমেরিকায় বসবাসকারী মুসলিমরা ভয়ে রয়েছেন বলেও সোশাল মিডিয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়। বিরোধীরা যাতে কোনোভাবেই রিপাবলিকানদের বর্ণবিদ্বেষী এবং ধর্মবিদ্বেষী বলতে না পারে, তার জন্য এবার নিজে সক্রিয় হলেন ট্রাম্প। এবং সমর্থকদের উদ্দেশে বললেন, তারা যেন কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের উত্ত্যক্ত না করে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলিম এবং বেশ কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এর জন্য আমি দুঃখিত। সমর্থকদের বলছি, এসব বন্ধ করুন। তবে এর পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, সংখ্যালঘুদের যতটা না উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি প্রচার করছে গণমাধ্যম। এমন প্রচারণা গণমাধ্যমেরও বন্ধ করা উচিত। ধর্মের তাস খেলে ক্ষমতা দখল করলেও জয়ের পর সবার প্রেসিডেন্ট হতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে যা করতে চান ট্রাম্প : না আমেরিকার নবনির্বাচিত বিলিয়নেয়ার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বেতন হিসেবে বছরে মাত্র এক ডলার গ্রহণ করবেন। এখানেই শেষ নয়, দেশের জন্য কাজে তিনি নিজেকে এতটাই ডুবিয়ে দেবেন যে, কোনো দিন ছুটি নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় তিনি বেতন নেবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে উত্থাপন করে সিবিসি সংবাদচ্যানেলের একটি সাক্ষাত্কারে যখন ৭০ বছরের ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি কী করবেন, তখন তার জবাব, না, আমি বেতন নেব না। আইন অনুযায়ী আমাকে ১ ডলার বেতন নিতেই হবে। তাই আমি বছরে ১ ডলার বেতন নেব। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেতন ঠিক কত, তাও তিনি জানেন না বলে দাবি করেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
পাশাপাশি তিনি প্রচুর করতে আগ্রহী বলে জানিয়ে ট্রাম্প ছুটি প্রসঙ্গে বললেন, আমাদের প্রচুর কাজ রয়েছে। প্রচুর কাজ করতে হবে। আর আমি এটা মানুষের জন্য করতে চাই। আমরা কর কমাব, স্বাস্থ্যের দিকটায় নজর দেব। মানে, অনেক কিছু করার আছে। কাজেই আমার মনে হয় না, বড কোনো ছুটি নেয়ার মতো জায়গায় আমি আছি।
হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। তার ইমেজ সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনে যে প্রশ্ন রয়েছে, তা মুছে দেয়ার উপরই এখন সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে প্রিবাস ও বেনন
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য বেছে নিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং রক্ষণশীল মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে।
এদের মধ্যে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির সভাপতি রাইনস প্রিবাস হচ্ছেন হোয়াইট হাউসের নতুন চিফ অব স্টাফ। ট্রাম্পের সুরে হোয়াইট হাউজকে সঙ্গত দেওয়ার জন্য তৈরি করার পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার কাজও প্রিবাসকে করতে হবে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ট্রাম্প তার চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন রক্ষণশীল দলের সমর্থক ব্রাইবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান স্টিভেন বেনন। ব্রাইবার্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্বকে হতবাক করে গত ৮ নবেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে দেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, যাকে ভোটের প্রচারের সময় নানা মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
বারাক ওবামার টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন নিউ ইয়র্কের ধনকুবের ট্রাম্প।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ভোটের প্রচারে দারুণ সফল দলটিকে আমি দেশের নেতৃত্বে দেওয়ার কাজেও পাশে পাচ্ছি। আমি রোমাঞ্চিত।”
গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে কারা দায়িত্ব পাচ্ছেন সেই ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “স্টিভ আর রাইনস দুজনেই অত্যন্ত যোগ্য নেতা, যারা আমাদের নির্বাচনী প্রচারে একসঙ্গে কাজ করেছে এবং আমাদের ঐতিহাসিক জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছে। এখন হোয়াইট হাউজেও আমি তাদের পাশে পাচ্ছি, যেখানে আমাদের কাজ হবে আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠত্বের আসনে নিয়ে যাওয়া।”
ভোটের প্রচারের দিনগুলোতে ট্রাম্প ও রিপাবলিকান পার্টি প্রশাসনের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেছেন ৪৪ বছর বয়সী প্রিবাস। তিনি কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং তারা দুজনেই এসেছেন উইসকনসিন থেকে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবগুলো আইনসভায় পার করার ক্ষেত্রে পল রায়ানের ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ।
২০১১ সালে মধ্যে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রিবাস দলের মুখপাত্র ও প্রধান তহবিল সংগ্রাহকের ভূমিকা পালন করে আসছিলেন।
তিনি বলেছেন, হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সুযোগ তার জন্য এক বিরাট সম্মান।
“নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তার এবং দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমরা এমন এক অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই যার উপকার সবাই পাবে। আমরা আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে চাই, ওবামা কেয়ার বাতিল করার পাশাপাশি ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে ধ্বংস করতে চাই।”
ট্রাম্পের পক্ষে ভোটের প্রচারকে বাণিজ্যিক প্রচারের আদলে সাজিয়ে সফল হওয়াকে নিজের লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিলেন ৬২ বছর বয়সী বেনন।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার ও চলচ্চিত্র প্রযোজনায় কাজ করা বেনন ব্রাইবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কে যোগ দেন ২০১২ সালে। সে সময় ব্রাইবার্টকে ডানপন্থিদের হাফিংটন পোস্ট বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
ব্রাইবার্ট যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীলদের সবচেয়ে বেশি পঠিত নিউজ ওয়েবসাইট, মূল ধারার সংবাদমাধ্যমকে চ্যালেঞ্জ জানানো যাদের অন্যতম লক্ষ্য।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “নতুন প্রশাসনের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে রাইনসের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় আমি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই।
“ভোটের প্রচারে খুবই সফল একটি অংশীদারিত্ব আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করতে আমাদের সেই অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে।”

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button