ইইউ’র সদস্যপদ প্রশ্নে শেষ পর্যন্ত গণভোট দিচ্ছেন এরদোগান
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে তুরস্কের আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে কিনা- সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দেশটিতে গণভোট দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি বলেছেন, চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে এবং এরপর জনগণের মতামত নেয়া হবে। তিনি বলেন, আগামী বছর গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং জনগণই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে এরদোগান আরো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার বিষয়ে ব্রিটেন গণভোট দিয়েছে এবং জনগণ চূড়ান্তভাবে ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান পরবর্তী তুর্কি সরকারের ধর-পাকড় ও দমন-পীড়নের নিন্দা করার পর এরদোগান টেলিভিশনে এ ভাষণ দিলেন। এছাড়া, ইউরোপীয় সংসদের সভাপতি মার্টিন শুল্জ সম্প্রতি এ সংস্থায় তুরস্কের সদস্যপদ পাওয়ার আলোচনা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছেন।
শুল্জের হুমকির জবাবে এরদোগান বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নে যখন যথাযথ কর্তৃপক্ষ রয়েছে তখন আপনি কে এ ধরনের হুমকি দেয়ার? আপনারা যারা ৫৩ বছর ধরে তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নেন নি তখন আপনি একা কী করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করনে?”
১৯৬০ সাল থেকে তুরস্ক ইউরোপীয় জোটের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করছে এবং ২০০৫ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ’র সদস্য হওয়ার বিষয়ে আলোচেনা শুরু করে। কিন্তু ইউরোপের দেশগুলো নানা অজুহাতে তুরস্ককে সদস্যপদ দেয়নি।