ব্রিটেনে অবৈধদের সাধারন ক্ষমা ঘোষণার সম্ভাবনা
ব্রিটেনে অবৈধভাবে বসবাসরত ইমিগ্রান্টদের সাধারন ক্ষমার কথা ভাবছে সরকার। বর্তমান ফরেন সেক্রেটারী বরিস জনসন এমনটাই বলেছেন। বরিস কেবিনেটে বলেছেন, যারা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্রিটেনে অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন তাদেরকে ব্রিটেনে থাকার সুযোগ দেয়া উচিত। বরিস মনে করেন এমনেস্টি বা সাধারন ক্ষমার পরিকল্পনা মানুষকে শুধু বৈধভাবে থাকার সুযোগ করেনা বরং আইনসম্মত ভাবে কাজ করে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ করে দিবে।
ব্রেক্সিটের কারনে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ১২২ বিলিয়ন পাউন্ড সরকারকে লোন করতে হতে পারে। ভবিষ্যত পূর্বাভাসের কথা চিন্তা করে বরিস জনসন এ পরিকল্পনার কথাটি পুনব্যক্ত করেছেন। ব্রেক্সিটের পর ইউরোপিয়ানদের আগমন ব্যাহত হয়ে ব্রিটেনের অর্থনীতি এবং রাজস্ব খাতে বিরাট ধবস ঠেকাতেই এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা দরকার বলে মনে করেন ফরেন সেক্রেটারী।
ফরেন সেক্রেটারী ইইউ রেফারেন্ডামের সময় অবৈধ ইমিগ্রান্টদের এমনেস্টি দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। সম্প্রতি প্রধান মন্ত্রী তেরেসা মের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেবিনেট বৈঠকে আবারও তিনি এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
গত জুন মাসে এক র্যলিতে তিনি বলেছেন, আমি শুধু অভিবাসিদেরই নয়, আমি অভিবাসনেরও এবং আমি অবৈধ ইমিগ্রান্টদের এমনেস্টি দেয়ার পক্ষে যারা ১২ বছরের অধিক সময় ধরে ব্রিটেনে বসবাস করছেন এবং তারা এদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারছেন না। তারা সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করতে পারছেন না। তারা এখানকার সমাজের একজন হয়ে কাজ করতে পারছে না। বরিস বলেন আমাকে বলতে হচ্ছে এই কারনে যে এটি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে করতে হবে। অর্থনৈতিক কারনেও এতা আমাদের করা দরকার।
হোম সেক্রেটারী এমবার রাড বিষয়টি উপলব্দি করেছেন এবং এতে তার সদিচ্চা প্রকাশ করেছেন। তবে হোম সেক্রেটারী মনে করেন ব্রেক্সিটের পক্ষের কেবিনেট মেম্বাররা এর বিরোধীতা করতে পারেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করতে পারে। আবার ব্রেক্সিটের বিপক্ষে অবস্থানকারিরা বরিস জনসনের এমনেস্টি সংক্রান্ত পরিকল্পনাকে অন্যভাবে দেখছেন। তারা মনে করছেন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বিদেশীদের সম্পর্কে অনেকের অহেতুক ভয় কাটতে পারে।
এদিকে বাজেট পূর্বাভাসের সুত্র থেকে জানা যায় আগামী ৫ বছরের মধ্যে ইউকের বাজেট ১২২ বিলিয়ন পাউন্ড ব্ল্যাক হোলে নিপতিত হবে। এর মধ্যে ৫৮ বিলিয়ন ঘাটতি সরাসরি ব্রেক্সিটের সাথে সম্পর্কিত। এছাড়া ১৬ বিলিয়ন ফাউন্দের শর্টফল হবে শুধুমাত্র অভিবাসন সংক্রান্ত কারনে। এর ফলে ব্রিটেনের রাজস্ব বিভাগ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।