১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান মাটির সাথে মিশে গেলে কি বিশ্ববিবেক জাগ্রত হবে?
পরিস্থিতির আর কতদূর অবনতি হলে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্মী বর্বরতার অবসান হবে? আর কত মানুষ মারা গেলে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হবে? আর কত মা বোন ধর্ষিত হলে বিশ্ব শক্তিরা জেগে উঠবে? আমারতো মনে হচ্ছে যে ২৫ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের মধ্যে যে ১৩ লাখ এখনো বার্মার রাখাইন প্রদেশে রয়েছে তারা সকলে একেবারে মাটির সাথে মিশে গেলে তখনই মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারা জেগে উঠবে। এতদিন আমরা জবাই করে হত্যা করা অথবা বন্দুক রাইফেলের গুলীতে নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার কথা শুনেছি। কিন্তু সেই নিরীহ নিরস্ত্র মানুষগুলোকে হেলিকপ্টার গানশীপ থেকে অর্থাৎ আকাশ থেকে গুলী করে হত্যার খবর কি আপনারা শুনেছেন? কাদের বিরুদ্ধে আকাশে হেলিকপ্টার থেকে গুলী করা হচ্ছে? যাদের হাতে রাইফেল পিস্তল তো দূরের কথা, একটি লাঠিসোঁটা বা পিস্তল পর্যন্ত নাই? এতদিন আমরা বিভিন্ন দেশে গণহত্যার খবর দেখেছি। কিন্তু যাদেরকে খুন করা হচ্ছে তাদের গলিত লাশ থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হওয়ার খবর কি আপনারা শুনেছেন? কোথায় যাবে এই বেচারা রোহিঙ্গারা? সীমান্তের ঐ পারে বর্মী সেনা গুলী করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। ওরা নৌকায় করে পালিয়ে প্রাণ বাঁচানোর আশায় নাফ নদী দিয়ে যখন এধারে আসছে তখন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বর্ডার গার্ড ওদেরকে জোর করে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
শুক্রবারের পত্র-পত্রিকায় কয়েকটি অত্যন্ত ডিস্টার্বিং খবর বেরিয়েছে। আরাকান রাজ্যের মংডুর আরও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিকে ধাবিত হচ্ছে মিয়ানমারের সাঁজোয়া বাহিনী। প্রতিদিনই রোহিঙ্গা মুসলিম নির্মূলে পরিচালিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে সৈন্য সমাবেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে বাড়ছে গণধর্ষণ।
সাঁজোয়া বহরে নতুন করে যুক্ত হয়েছে হেলিকপ্টার গানশিপ, মর্টারশেলবাহী কামান ও মেশিনগান। এসব ভারী অস্ত্র নিয়ে অসহায় গ্রামবাসীর ওপর সৈন্যরা হামলে পড়ছে। ইতোমধ্যে বর্মী বাহিনীর ধ্বংস করে দেয়া গ্রামগুলো থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে লাশপচা গন্ধ। এরই মধ্যে ২২টি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে রোহিঙ্গা পল্লীতে গুলী করা হয়েছে। মংডুর উত্তরাঞ্চলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাফ নদী সরু থাকায় যেসব রোহিঙ্গা প্রাণে বেঁচে গেছে তারা নতুন আশ্রয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এতে পালিয়ে আসা নারী-পুরুষদের প্রাণ রক্ষা হলেও এবারের অভিযানে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কারো আর পালিয়ে যারায়ার সুযোগ নেই। কেননা সেনাবাহিনী দক্ষিণে ধাবিত হয়ে রোহিঙ্গাদের কোণঠাসা করে ফেলছে। এখন তাদের পালানোর একমাত্র জায়গা সমুদ্র। আর প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়েও কোনো লাভ নেই। কেননা সাগর পাড়ি দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। নৌকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সেখানে ওঁৎ পেতে আছে বর্মী নৌবাহিনী। কাজেই জলেস্থলে কোথাও নিস্তার নেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের। অনেকটা জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘের মতো অবস্থা। অর্থাৎ অবধারিত মৃত্যু।
ইতোমধ্যে আরাকানের মংডু, বুচিদং, আকিয়াবসহ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার গ্রাম-মহল্লা-পাড়াগুলোর বাড়িঘর প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। পালিয়ে আশ্রয় নেয়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষদের নির্বিচারে হত্যা, কেটে কেটে টুকরো অথবা গলা কেটে আর পিটিয়ে হত্যা করছে। আর রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ করছে।
এ দিকে টেকনাফ উপজেলার চারটি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই ১১টি নৌকা বাংলাদেশে এলে তাদের বাধা দেয় বিজিবির সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার ভোরে বাংলাদেশে ঢুকতে না পেরে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফেরত যায়। যেসব পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বেশি প্রবেশের চেষ্টা করছে সেসব পয়েন্টে বিজিবির সর্বোচ্চ নজরদারি আছে। পাশাপাশি সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর বর্মী হানাদার বাহিনী যে বীভৎস নির্যাতন চালাচ্ছে তেমন বীভৎস নির্যাতন পাক বাহিনীও ’৭১ সালে বাঙ্গালীদের ওপর চালায়নি। নৌকাযোগে পলায়নরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের স্পিডবোট দিয়ে তাড়া করে হত্যা করা, হেলিকপ্টার গানশীপ থেকে গুলী করে হত্যা করা, ঘরে ঘরে গিয়ে রোহিঙ্গা নারীদের টেনে বের করে পাইকারী ও গণহারে ধর্ষণ করার কথা ’৭১ সালের পাক-বাহিনীর নির্যাতনকেও ম্লান করে দিয়েছে। বর্বরতার ধরন মধ্যযুগীয় নির্যাতনকেও হার মানায়। অথচ বাংলাদেশের সেক্যুলাররা মানবতার এই চরম লাঞ্ছনার পরেও সম্পূর্ণ নির্বিকার। তারা সব মুখে কলুপ এঁটেছে। কোথায় গেল আওয়ামী লীগ? কোথায় গেল কমিউনিস্ট পার্টি? কোথায় গেল বাসদ? কোথায় গেল তাদের তল্পিবাহক বুদ্ধিজীবীরা? বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে ল্যাটিন আমেরিকার কোথাও সামান্যতম মানবাধিকারের লঙ্ঘনের ঘটনায় যারা তারস্বরে নিন্দায় মেতে ওঠে। কিন্তু মানবতার এই নৃশংসতম অপমানেও ওরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। কাশ্মীরে এই সেদিনও ২ মাস ধরে কার্ফিউ জারি করে শতাধিক ব্যক্তিকে ভারতীয় সৈন্যরা হত্যা করলেও ওরা চোখ বন্ধ করে থাকে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলী বর্বরতা নিয়ে ওরা সোচ্চার নয়। বাংলাদেশের নাসিরনগরে যখন প্রমাণিত হলো হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করেছে সরকারি দল, যখন প্রমাণিত হলো যে গাইবান্ধায় সাঁওতাল পল্লীতে হামলা করেছে সরকারি দল, তখন ওরা মুখে গোমটাই লাগিয়েছে। প্রথমে তারা খুব চিৎকার করেছে। তখন ভেবেছিল যে ইসলামী ঘরানার তরফ থেকে এগুলো করা হয়েছে। কিন্তু যেই দেখা গেল এইগুলোর পেছনে রয়েছে তথাকথিত সেক্যুলার ফোর্স, ওমনি তারা গর্তে সেঁদিয়ে যায়। যেখানেই ইসলাম বা মুসলমানদের গন্ধ আছে সেখানেই ওরা ধিক্কার ও নিন্দাবাদে উচ্চকণ্ঠ হয়। আর যেই দেখা যায় ইসলাম বা মুসলমানের কোনো সংস্পর্শ নাই, ওমনি ওরা মিউ মিউ করে।
॥ দুই ॥
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশের নির্যাতনের মুখে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নাফ নদী হয়ে পালাতে গিয়েও রেহাই পাচ্ছেন না নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গারা। দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা বুধবার রাতে সে দেশের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপির টার্গেটে পড়ে। ৪২ জন রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকায় গুলী চালায় বিজিপি। এতে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন গুলীবিদ্ধ হন। তবে কতজন মারা গেছে সে খবর জানা যায়নি। আহত একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় নাফ নদীর পানিতে ভাসতে দেখে বাংলাদেশের জেলেরা উদ্ধার করে টেকনাফের লেদাতে অবস্থিত একটি অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসে। বুধবার রাতে নৌকাযোগে দুই ছেলেকে নিয়ে পালানোর সময় আহত হয়ে কোনোমতে বেঁচে আসা ওই রোহিঙ্গার নাম ইমান হোসেন। জেলেরা তাকে উদ্ধার করলেও তার দুই ছেলের ভাগ্যে কি ঘটেছে জানেন না ইমান। ৪৮ বছর বয়সী রাখাইন রাজ্যের পেরামপুরো গ্রামের কৃষক ইমান হোসেনের বাবার নাম পিতা মৃত কালু মিয়া। ১২ অক্টোবর তাদের এলাকায় সেনাবাহিনী হামলা শুরু করে। তাদের ঘরটি পুড়িয়ে দেয়। স্ত্রী ও ছোট সন্তান পাশের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। আর তিনি বড় দুই ছেলের জীবন রক্ষার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। কিন্তু নিয়তির কি পরিহাস, যে ছেলেদের জীবন বাঁচাতে তিনি বাড়ি ছাড়েন, তাদের দু’জনকে মৃত্যুর মুখে রেখে আসতে হয়েছে বাবাকে। ইমান হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বুধবার রাত ৯টার দিকে রাখাইন রাজ্যের মংডুর পেরামপুরো চরে এক থেকে দেড় হাজার রোহিঙ্গা ছিল এপারে আসার অপেক্ষায়। সেখান থেকে ৬টা নৌকা রওনাও হয়। তারা যে নৌকায় ওঠেন সেখানে ছিল ৪২ জন রোহিঙ্গা। তাদের সঙ্গে তার দুই ছেলে সলিমুল্লাহ (১৮) ও সালামত খানও (১৪) ছিল। নৌকার আরও যারাা ছিলেন তাদের মধ্যে ১০ জন নারী, ৮-১০ জন শিশু ও ২০ জন পুরুষ ছিল। সব মিলিয়ে ৪২ ছিলেন। নৌকাটি রওনা হয়ে মাত্র নাফ নদীর কাছে আসে। এ সময় গুলীর শব্দ শুনি। হঠাৎ করে দেখি মিয়ানমারের বিজিপির স্পিডবোট চলে আসে। এসেই গুলী শুরু করে। এ সময় নৌকার মধ্যে পানি ঢুকে যায়। সবাই নৌকার পাটাতনের নিচে আশ্রয় নেয়। কিন্তু বিজিপি খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের ওপর গুলী করতে থাকে। এক সময় নৌকাটি স্পিডবোটের সঙ্গে বেঁধে টানতে শুরু করে বিজিপি। ইমান জানান, নৌকার মাঝি লাফ দিয়ে নদীতে পড়ে যায়। তিনিও জীবন রক্ষার জন্য দুই সন্তান ফেলে নদীতে ঝাঁপ দেন। এখন তিনি জানেন না তার দুই ছেলেসহ অন্যদের জীবনে কি ঘটেছে। তিনি বলেন, আমি দেড় ঘণ্টার মতো সাঁতরে নাফ নদীর মাঝখানে চলে আসি। বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে জেলেরা আমাকে উদ্ধার করে। পরে জেলে আবদুস সালামের বাড়িতে আমাকে আশ্রয় দেয়। একটা লুঙ্গি দেয়। রাতের খাবার দেয়।
॥ তিন ॥
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং রাখাইন বৌদ্ধদের সম্মিলিত হামলায় যখন সুপরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে, যখন হেলিকপ্টার গানশীপ থেকে গুলী করে অসহায় নিরস্ত্র মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, যখন রোহিঙ্গা নারীদের ঘর থেকে বের করে পাইকারী হারে ধর্ষণ করা হচ্ছে, যখন তাদের এই মহাবিপদে কেউ পাশে দাঁড়াচ্ছে না, তখন একটি বৃহৎ শক্তি মৌখিকভাবে হলেও রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। এই বৃহৎ শক্তিটি হলো গণচীন। বাংলাদেশ যখন আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকার করেছে, যখন বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের পুশ ব্যাক করে মিয়ানমারে ঠেলে দিচ্ছে, তখন চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং আরো রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে চীন ঘোষণা করেছে যে, রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান সামরিক শক্তি দিয়ে নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত।
॥ চার ॥
আজ আমেরিকা এবং পশ্চিমা দুনিয়া স্বীকার করছে যে, বর্তমানে পৃথিবীতে রোহিঙ্গারা সবচেয়ে নিপীড়িত জাতি। পরিস্থিতি যেখানে এতো গুরুতর সেখানে সেই পরিস্থিতি দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট মোটেই গুরুত্ব পাচ্ছে না। রাশিয়া তথাকথিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার গালভরা বুলি নিয়ে সিরিয়ায় বোমা মেরে চলেছে। অথচ মিয়ানমারে নিরস্ত্র জনতাকে একটি সামরিক চক্র বছরের পর বছর ধরে নিধন করে যাচ্ছে, মানবতার এতো বড় অপমানেও এবং মানবাধিকার এমন ভয়াবহ রূপে লঙ্ঘিত হলেও রাশিয়ার কোনো বিকার নাই। ভারত নিজ দেশে এবং বিদেশে মানবাধিকারের বড় ফেরিওয়ালা। বাংলাদেশে সম্প্রদায় বিশেষের সামান্য ক্ষতি হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তারা সে ব্যাপারে নাক গলায়। এই তো কয়েক বছর আগেও ভারত বাংলাদেশের পার্বত্য সমস্যায় নাক গলিয়েছিলো। অজুহাত ছিলো, তার সীমান্তে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে তার নাকি নিরাপত্তা বিঘিœত হয়। মিয়ানমারও ভারতের প্রতিবেশী। অথচ সেখানে লাখ লাখ মানুষকে ঘরছাড়া করা হচ্ছে। ১৯৭৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২৫ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের মধ্যে ১২ লাখকেই ঘরছাড়া করেছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট মোতাবেক গত অক্টোবর মাস থেকে আরাকানে যে জাতিগত নিধন চলছে তার ফলে মাত্র ২ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাস্তুহারা হয়েছে।
এমন পটভূমিকায় সামরিক শক্তির পরিবর্তে আলাপ-আলোচনার যে আহ্বান গণচীন করেছে সেটি শুধু মুখে বললেই চলবে না। সেটিকে কার্যকর করার জন্য মিয়ানমার সরকারের ওপর গণচীনের চাপ প্রয়োগ করতে হবে। সকলে সকলের ওপর চাপ দিতে পারে না। মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার ব্যাপারে গণচীনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আজ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বর্মী হানাদার বাহিনী যে অস্ত্র ব্যবহার করছে সেটিও সরবরাহ করেছে চীন। বাংলাদেশের মানুষ তাই আশা করে মিয়ানমার সরকারের এই গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করার জন্য চীন সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।