নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এবং এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বলেছেন, “ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”
তদন্তকারীরা সোমবার নেতানিয়াহুর বাসভবনে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে এক বিবৃতিতে নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
গণমাধ্যম ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিকদের ‘এখনই উল্লাস শুরু না করার’ বিষয়ে সতর্ক করে দেন তিনি। বলেন, “কিছুই হয়নি, কারণ কোনো ঘটনা ঘটেইনি।”
জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, জেরুজালেমের বাসভবনে নেতানিয়াহুকে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।
দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশি ও বিদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেতানিয়াহু কয়েক হাজার ডলার মূল্যের ‘অনৈতিক উপহার’ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার সকালে নেতানিয়াহু তার লিকুদ পার্টির আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, “আমরা গণমাধ্যমের সব প্রতিবেদনগুলো শুনেছি। টেলিভিশন স্টুডিওগুলোতে ও বিরোধীদলগুলোর কার্যালয়ে উত্সবের আবহও লক্ষ্য করেছি। “আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, উদযাপনের জন্য অপেক্ষা করুন। তাড়াহুড়া করবেন না, আপনারা গরম বাতাসের বেলুন ফুলাতে শুরু করবেন আর আমরা ইসরায়েল রাষ্ট্রকে পরিচালনা করতে থাকব।”
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কয়েকটি কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাওয়ার পর বিরোধীরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্তের দাবি তোলে। তবে এসব অভিযোগের কোনোটিতেই তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
জার্মানি থেকে নতুন সাবমেরিন কেনা নিয়ে আলোচনাকালে নেতানিয়াহুর আইনজীবী বিক্রেতা কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। গত মাসে এ নিয়ে একটি তদন্ত শুরু হয়।
গত বছরের প্রথমদিকে ফরাসি প্রতারক আহনু মিমরান দাবি করেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি নেতানিয়াহুর প্রচারণা শিবিরে কয়েক লাখ ইউরো দান করেন। এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু।
এছাড়া নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের অপচয়, সরকারি উপহার রাষ্ট্রীয় মহাফেজখানায় জমা না দিয়ে নিজেরা (স্ত্রী’সহ) রেখে দেওয়া ইত্যাদি অভিযোগ উঠেছিল। তবে, সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তিনি।