শ্যাডো মিনিস্টার থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ
যুক্তরাজ্যের বিরোধীদল লেবার পার্টির ছায়ামন্ত্রিসভা (শ্যাডো মিনিস্টার) থেকে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকী। দলটির প্রধান জেরেমি করবিন বিষয়টি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিটিশ সরকারের আনা ব্রেক্সিট বিলের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত) পক্ষে সমর্থন জানান জেরেমি কারবিন। এর পরপরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন টিউলিপ।
টিউলিপ লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনের আইনপ্রণেতা (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শিক্ষাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রণালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন।
করবিনের কাছে দেওয়া পদত্যাগপত্রে টিউলিপ লেখেন, আমি ‘আর্টিকেল ৫০’ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পদ্ধতি) সমর্থন করি না। তাই সম্মুখ সারির নেতৃত্বের সঙ্গে একত্র হতে পারছি না।
টিউলিপ চিঠিতে জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের জন্য ভোট গ্রহণ শুরু করলে তাঁর এলাকার ভোটারদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। ওই ভোটারদের তিন-চতুর্থাংশই ইইউতে থাকার পক্ষে ছিল।
টিউলিপ চিঠিতে লেখেন, আমি মনে করি, পেছনের সারিতে অবস্থান করেই আমি টেরেসা মের (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী) ব্রেক্সিট সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারব।
আমি সব সময়ই এ বিষয়ে পরিষ্কার ছিলাম যে আমি হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের হয়ে ওয়েস্টমিনস্টারের সমর্থন করি না, বরং ওয়েস্টমিনস্টারের হয়ে হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের সমর্থন করি।
২০১৫ সালে জুনে অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পক্ষে সমর্থন দেন যুক্তরাজ্যের জনগণ। কিন্তু টিউলিপের নির্বাচনী এলাকা হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের ৭৫ শতাংশ ভোটারই ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ ২০১৫ সালে লেবার পার্টির হয়ে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনে সংসদ সদস্যপদ পান।