ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী অভিবাসী নিষেধাজ্ঞা আদালতে স্থগিত
সিরিয়া, ইরাক, ইরানসহ বেশ কিছু মুসলিমপ্রধান দেশের অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নির্বাহী আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন স্থানীয় আদালত।
একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালত স্থানীয় সময় শনিবার, ২৮ জানুয়ারি রাতে এ স্থগিতাদেশ দেন। আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত থাকবে। এর ফলে ওই মুসলিম দেশগুলো থেকে শরণার্থী ও অভিবাসী প্রবেশে আর বাধা থাকলো না।
শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর নিউইয়র্ক সিটির জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন ইরাকের দুই নাগরিক। তাদের পক্ষেই ফেডারেল আদালতে আবেদনটি করেন মানবাধিকার সংগঠন ‘দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন ও আরও কয়েকটি শরণার্থী সহায়তা সংস্থা।
আবেদনে তারা ট্রাম্পের ওই আদেশকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা চেয়ে এটির বাস্তবায়ন ঠেকাতে আদালতের হুকুম প্রত্যাশা করেন। শুনানির পরই আদালত আবেদনটির পুরোপুরি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই আদেশ বাস্তবায়নের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দেন।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ক্ষমতা নেওয়ার সপ্তাহ পার হতেই প্রেসিডেন্টকে এই প্রথম সাংবিধানিক বিপত্তির মুখে পড়তে হলো।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে মার্কিন মুলুকে ৪ মাসের যেকোনো ধরনের শরণার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আর সিরিয়ার ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা জারি হয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত। ট্রাম্প তার আদেশে সিরিয়া ছাড়াও মুসলিমপ্রধান আরও ৬টি দেশের ভিজিটর বা দর্শনার্থী প্রবেশ পর্যন্ত বন্ধ করে দেন ৩ মাসের জন্য। সে ৬টি দেশ হলো ইরাক, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান।