ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিলের অনুমোদন
দীর্ঘ বিতর্কের পর অবশেষে ব্রিটিশ পার্লামেল্টে অনুমোদন পেয়েছে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত একটি বিল। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসতে ব্রিটিশ এমপিদের এই পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
এর ফলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এখন ব্রেক্সিট কার্যকর করার প্রশ্নে আলোচনা শুরু করতে পারবেন। খবর গার্ডিয়ানের।
লেবার নেতৃত্বের সমর্থিত মঙ্গলবার লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা শুরু করতে ব্রিটিশ পার্লামেল্টে একটি বিল আনা হয়। দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (নোটিফিকেশন অব উইদড্রয়াল) নামের বিলটি নিয়ে নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে দুই দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয় বিতর্ক। দুই দিনের বিতর্ক শেষে বুধবার বিলটি নিয়ে ভোটাভুটি হয়। ৪৯৮ এমপির মধ্যে বিল অনুমোদনের পক্ষে ভোট দেন ৩৮৪ জন। বিপক্ষে পড়ে ১১৪ ভোট।
দ্য টেলিগ্রালের খবর, ৪৭ জন লেবার পার্টির এমপি। ৫০ জন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপি এবং ৭ জন লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টির এমপি এর বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন। এছাড়া অন্যান্য দলের আরও ১০ জন এমপি এর বিপক্ষে ভোট দেন।
অনুমোদন পাওয়া বিলটি আগামী সপ্তাহে হাউস অব কমন্সে ফেরত পাঠানো হবে। সেখানে বিরোধী দলগুলো এতে সংশোধনী আনার চেষ্টা করবে। এরপর বিলটি নিয়ে বিতর্কসহ অনুমোদনের জন্য এটি হাউস অব লর্ডসে পাঠানো হবে। হাউস অব লর্ডস এটি সংশোধনের পরামর্শ দিতে পারবে।
দ্য টাইমস-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকার আগামী মার্চে ইউরোপীয় নেতাদের সম্মেলনে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য আইন পাস করতে আগ্রহী। সরকারের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে হাউস অব লর্ডস-কে বলা হয়েছে, আগামী ৭ মার্চের মধ্যে তারা নতুন ব্রেক্সিট বিলের পাস করতে আগ্রহী।
চলতি বছরের ৯ মার্চ মাল্টায় দুই দিনের ইউরোপীয়ান কাউন্সিল সামিটে অংশ নেবেন ইইউ-ভুক্ত ২৮টি দেশের সরকারপ্রধানরা। পার্লামেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে সেখানে বিষয়টি তুলে ধরতে চান থেরেসা মে।