ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে ইউরোপ

EUযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাট্টা হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও ট্রাম্পনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিয়েছেন তারা। শুক্রবার মাল্টায় ইইউ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে কোনো চুক্তিতে তারা একজোট থাকবেন বলে একমত হন। সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র দুই পক্ষের মধ্যে ‘সেতু’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন ইইউ নেতারা। খবর গার্ডিয়ান, এএফপি ও রয়টার্সের। ট্রাম্পের অভিষেকের পর ইইউ নেতাদের এটি প্রথম সম্মেলন। সম্মেলনে ট্রাম্প ও তার নীতি; বিশেষ করে ন্যাটোর প্রয়োজনীয়তা এবং উন্মুক্ত বাণিজ্য ও মুসলিম শরণার্থীদের ওপর ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইইউ নেতারা আলোচনা করেছেন। সম্মেলনে ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ। তিনি বলেন, ‘তার (ট্রাম্পের) ব্রেক্সিটের প্রশংসা এবং ইইউ ভেঙে পড়া নিয়ে পূর্বানুমান আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’ এসময় ক্ষুব্ধ ওলান্দ বলেন, ‘আপনি নিজের চরকায় তেল দিন। আগে নিজের ঘর সামলান।’ ইইউ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কল্পনা না করে অনেক দেশেরই বরং আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা উচিত।’
ইউরোপীয় নেতাদের একজোট থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলোর সর্ম্পকের বিষয়গুলো এখনও এক। তবে আমরা আবারও আমাদের সার্বিক মূল্যবোধের বিষয়টি পরিষ্কার করে বলছি, আমরা জোটবদ্ধতায় বিশ্বাসী।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইইউ আরও অনেক দেশের সঙ্গে উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী, যেখানে ট্রাম্প বিষয়টিকে পেছন দিকে টানছেন। তবে অব্যাহত জঙ্গি হুমকির বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করব।’ যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) সিদ্ধান্ত নিলেও শুক্রবারের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ট্রাম্পের অভিষেকের পর মে-ই প্রথম কোনো বিশ্বনেতা যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দেখা করেছেন। ইইউ নেতাদের আশ্বস্ত করে মে বলেন, ইউরোপের দেশগুলোর প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাজ্য ইউরোপের সঙ্গে ওয়াশিংটনের যোগাযোগের সেতু হতে পারে- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এমন দূতিয়ালির প্রস্তাব নাকচ করেছেন ইউরোপীয় নেতারা। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট ডালিয়া গ্রিবাউস্কাইটে বলেন, ‘ইউরোপের সেতুর প্রয়োজন নেই।’ কয়েকদিন আগে ট্রাম্পকে রাশিয়া, চীন ও ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মতো বিশ্বের জন্য ‘হুমকি’ বলেছেন ইইউর ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান ডোনাল্ড টাস্ক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button