ঐতিহাসিক ‘ব্রেক্সিট’ প্রক্রিয়া শুরু
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করল যুক্তরাজ্য। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডোনাল্ড টাস্কের কাছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র চিঠি আনুষ্ঠানিকভাবে পৌছানোর মাধ্যমে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু হল।
এই চিঠি ইইউ প্রেসিডেন্টের কাছে পৌছানোর মাধ্যমে ইইউ ত্যাগ সংশ্লিষ্ট লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ৫০ জারি করল যুক্তরাজ্য। এখন ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ অর্থাৎ দুই বছরের মধ্যে ইইউ ত্যাগ করার সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে যুক্তরাজ্যকে।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডোনাল্ড টাস্ক টুইটারে দেয়া পোস্টে বলেন, নয় মাস পরে যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করল। গত বছরের ২৩ জুন যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ প্রশ্নে গণভোট আয়োজন করে। প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ভোট দেয় ইইউ ত্যাগের পক্ষে, ৪৮ শতাংশ মানুষ ভোট দেয় ইইউ ত্যাগের পক্ষে।
২৮ জাতির জোট ইইউ থেকে কোনো সদস্য বেরিয়ে যাওয়া নির্দেশনা রয়েছে লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ৫০-এ। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইউনিয়ন ত্যাগকারী সদস্যকে ইউরোপীয় কাউন্সিলকে উদ্দেশ্যের কথা জানাতে হবে, জোট থেকে বেরিয়ে যেতে আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তি সম্পাদন করতে হবে এবং ইইউর সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিরূপণে একটি আইনানুগ প্রেক্ষাপট তৈরি করতে হবে। এই আর্টিকেলটি বলবৎ করতে প্রজ্ঞাপন জারির দুই বছরের মধ্যে আলোচনায় থাকা পক্ষগুলোকে বিচ্ছেদে করণীয় সবকিছু নির্ধারণ করতে হবে।
এখন ২৭ জাতির ইইউ জোট ও এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে ঠিক করতে হবে কিভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিঠি ইসি চেয়ারম্যানের কাছে পৌছানোর সময় হাউজ অব কমন্সে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, ব্রিটিশ জনগণের ইচ্ছানুযায়ী ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করছে। এটা একটা ঐতিহাসিক মুহুর্ত যা থেকে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। যুক্তরাজ্যের প্রতিটি মানুষের জন্য সঠিক চুক্তিটা করার বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।