ইইউ-ব্রিটেন সম্পর্ক তলানিতে
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র নজিরবিহীন আক্রমণের পর ইইউ ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। মে’র অভিযোগ, ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে নাক গলানো ও ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া ধ্বংস করার চেষ্টা করছে ইউরোপের নেতারা। খবর দ্য ইনডিপেনডেন্টের। বুধবার তেরেসা মে বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার জন্য অনুমতি চাইতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এ বক্তব্যেই তিনি ইইউর বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছোড়েন। মধ্যরাতেই ভেঙে দেয়া হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। ডাউনিং স্ট্রিটের ভাষণে তেরেসা মে বলেন, ‘ব্রাসেলসের (ইইউ সদর দফতর) অনেকেই চান না ব্রেক্সিট আলোচনা সফল হোক। তেরেসা মে আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় কমিশনের সমঝোতা প্রক্রিয়া বেশ কঠিন। ব্রাসেলস ব্রিটেনকে ‘ক্ষতির মধ্যে’ ফেলে দিতে চায় এবং ইইউ প্রকল্পের সফলতা দেখতে চায়।’ ইইউয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ বিলের জন্য ব্রিটেনকে ১০ হাজার কোটি ইউরো গুনতে হবে বলে প্রকাশ্যে আসার পর এমন বক্তব্য দেন মে। ফ্রান্স ও জার্মানি সর্বশেষ ব্রিটেনের কাছে যে পরিমাণ অর্থ দাবি করেছে তার হিসাব কষেই এ সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন বিশ্লেষকরা। তেরেসা মে’র বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন ব্রিটেনের রাজনৈতিক নেতা ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা নিকোলা স্টারজিয়ন বলেন, তেরেসা মে’র এ ধরনের বেপরোয়া মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও তিক্ত করে তুলবে এবং এসব একেবারেই ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কর্মকাণ্ড। লেবার পার্টির নেতা জেরিমি করবিন বলেন, টরি পার্টিকে নির্বাচনে জেতানোর জন্য ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে খেলা করছেন তেরেসা মে। ব্রাসেলসের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে তার সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতা লুকানোর চেষ্টা করছেন তিনি। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট সমন্নয়কারী গেই ভারহফতাদ বিদ্রƒপ করে বলেন, ইইউ থেকে প্রত্যাহারের বিষয়ে ‘প্রবল ও স্থায়ী’ জ্ঞানের অভাব রয়েছে তেরেসা মে’র।