আসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের তদন্ত প্রত্যাহার
সাড়াজাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত বাতিল করেছেন সুইডেনের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। শুক্রবার সুইডেনের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন ৪৫ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাজ্য থেকে সুইডেনে প্রত্যর্পণের ভয়েই দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সুইডেন সেই অভিযোগের তদন্ত বাতিলের পরও দূতাবাস থেকে বের হলেই তাঁকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ।
অ্যাসাঞ্জের ওয়েবসাইট উইকিলিকস ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক হাজার হাজার গোপন নথি ফাঁস করেছিল। এরপর ধর্ষণের অভিযোগের মুখোমুখি হতে সুইডেনে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। তার ধারণা ছিল, নথি ফাঁসের অভিযোগে আদালতের মুখোমুখি হতে সুইডেন তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে পারে।
অ্যাসাঞ্জের অভিযোগের তদন্ত বাতিলের বিষয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা তদন্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুইডেনের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী মারিয়ান নি স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি রয়টার্স দেখেছে। এতে বলা হয়েছে, এই তদন্ত নিয়ে অগ্রসর হওয়ার মতো আর কোনো পথ নেই।
সুইডেনের এই বিবৃতির পর একটি বিবৃতি দিয়েছে লন্ডন পুলিশও। এতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, অ্যাসাঞ্জকে এখনো ধরতে চাচ্ছে তারা।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০১২ সালের ২৯ জুন আত্মসমর্পণ না হওয়ার পর ওয়েস্টমিনস্টারের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’
‘তিনি দূতাবাস ছাড়ামাত্র মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিস এই পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধ্য।’