দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভ করেছেন হাসান রোহানি।আরও চার বছর মেয়াদের জন্য তিনি জিতেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল প্রার্থী এব্রাহিম রাইসিকে হারিয়ে। চার কোটি ভোটের মধ্যে মিঃ রোহানি পেয়েছেন শতকরা ৫৭ ভাগ ভোট । তিনি পেয়েছেন দুই কোটি ৩০ লক্ষ ভোট।
দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেইনির ঘনিষ্ঠ ছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থ ইব্রাহিম রাইসি। তিনি ইরানের অর্থনৈতিক অব্যবস্থা এবং দেশটিতে ক্রমবর্ধমান বিদেশি প্রভাবের সমালোচনা করে নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
মধ্যপন্থী মিঃ রোহানি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখার জন্য বিশ্বেনেতাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন।
রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতা মিঃ রাইসি ইতোমধ্যেই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।
মিঃ রাইসি মিঃ রোহানির সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে কয়েকশ ধরনের প্রচারণা চালানোর অভিযোগ এনেছেন। দেশটির নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটদানকালে কোনরকম প্রচারণা চালানো বেআইনি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিতে মিঃ রোহানিকে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল রেজা রাহমানি বলেছেন মিঃ রাইসি ভোট পেয়েছেন ৩৮.৫ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৫৭ লাখ। এই ব্যবধান অনেক কম হওয়ার কারণে দ্বিতীয় দফায় কোনো ভোটগ্রহণের সুযোগ থাকছে না।
ভোট পড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। এত অপ্রত্যাশিত বিপুল সংখ্যায় মানুষ ভোট দিতে যাওয়ার কারণে গতকাল ভোটগ্রহণের সময়সীমা ৫ ঘন্টা বাড়ানো হয়েছিল।
নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলেছেন ভোটারদের “অনুরোধ” ও ”জনগণের বিপুল অংশগ্রহণের” কারণে ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়।
৬৮ বছর বয়স্ক মিঃ রোহানি মধ্যপন্থী নীতির আলোকে ইরানকে বহির্মুখী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি তার এই নির্বাচনী সাফল্যের কারণ হিসাবে ২০১৫ সালে আমেরিকা, এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে ইরানের সফল একটি পারমাণবিক চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তির বিরোধিতা করেছেন।
এই চুক্তির পর ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও হোয়াইট হাউস এই নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি আবার বলবৎ করেছে। -বিবিসি বাংলা