ট্রাম্পের মুসলিম-বিরোধী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আপিল আদালতেও নাকচ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত বিতর্কিত নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ওই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প ইরানসহ ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।
ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিচমন্ড শহরের ‘ফোর্থ সার্কিট কোর্ট অব অ্যাপিলস’ বৃহস্পতিবারের রায়ে বলেছে, ট্রাম্পের নির্দেশ মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের শামিল; কাজেই জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করা যাবে না।
আপিল আদালতের ১৩ বিচারপতির মধ্যে ১০ জন এই নির্দেশের পক্ষে রায় দেন। বিচারপতি রজার গ্রেগরি এই রায় পড়ে শোনানোর সময় বলেন, সরকার মুসলমানদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা নামক ‘অস্পষ্ট পরিভাষা’ ব্যবহার করেছে। কিন্তু এই নির্বাহী আদেশ ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, বিদ্বেষ এবং বৈষম্য’ সৃষ্টি করবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময় আমেরিকায় মুসলমানদের প্রবেশের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেকথা উল্লেখ করে বিচারপতি গ্রেগরি বলেন, একটি ধর্মের অনুসারীদের আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের লঙ্ঘন।
এই মামলায় ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে আইনজীবীর ভূমিকা পালন করে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মেরিল্যান্ডের ফেডারেল আদালত যে রায় দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে ‘ফোর্থ সার্কিট কোর্ট অব অ্যাপিলস’-এ আপিল করেছিল ওই মন্ত্রণালয়।
মেরিল্যান্ডের ফেডারেল আদালত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল এবং ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার নির্বাহী আদেশে ইরান ছাড়া আর যে ছয়টি দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল সেগুলো হচ্ছে- ইরাক, সুদান, সিরিয়া, সোমালিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেন।