বিমানের কার্গোতে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
এবার বাংলাদেশ থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই জেনেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। মন্ত্রীর আশঙ্কা, এতে বিমানের পণ্য পরিবহনে আয় কমার পাশাপাশি বিরূপ প্রভাব পড়বে দেশের রফতানি খাতে। এর আগে যুক্তরাজ্য ও জার্মানী নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশ থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইইউ’র এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বলে দাবি করেন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
উল্লেখ্য নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। একই দিন জার্মানীও একই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে সরকারি পর্যায়ে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলছে আলোচনা।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিদর্শনে জুনে জার্মানী ও জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি দল। এই সংকটের মধ্যেই এবার কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে জানান বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বিমানবন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনার যখন উন্নতি হয়েছে। তখন ইইউ’র এ পদক্ষেপকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন বিমানমন্ত্রী।
কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ বিমান। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বিমানের আয় হয়েছিল ৩২৭ কোটি টাকা। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা ১২ কোটি টাকা কমে হয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের পোশাক খাতও।