বাংলাদেশীদের জন্য ইতালির ভিসা পুনরায় চালু
বাংলাদেশীদের জন্য “তিরিচিনো” ত্রেইনিং ভিসা বন্ধ থাকার পর চলতি মাসে ১৫ মে থেকে ঢাকাস্থ ইতালিয়ান দূতাবাস পুনরায় বাংলাদেশীদের জন্য এই ত্রেইনিং ভিসা জমা নেওয়া শুরু করেছে।
দূতাবাসে এখন থেকে চাইলে এই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র রেডি করে ভিসার জন্য আবেদন করতে পাড়বেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের জন্য ইতালির নানা ধরনের ভিসা বন্ধ রয়েছে, যার মধ্যে সিজনাল ভিসা সহ যে কোন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি সহ এই তিরিচিনো ক্যাটাগরির ভিসাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে সিজনাল বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু না হলেও এই তিরিচিনো ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে এবং কাগজ পত্র দূতাবাসের মন মত দেওয়ার উপর ভিসাও পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এক নজরে দেখে নেই ইতালিতে বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য কি কি ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু আছে বা কোন কোন ধরনের ভিসা গুলো পাওয়া যাচ্ছে?
১- ফ্যামিলি ভিসা
২- ট্যুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসা
৩- স্টুডেন্ট ভিসা
৪- ব্যবসায়িক ভিসা
৫- পুনঃপ্রবেশ ভিসা
৬- এবং বর্তমানে “তিরিচিনো”ত্রেইনিং ভিসা
উপরে উল্লেখিত ক্যাটাগরির ভিসা গুলো সম্প্রতি বাংলাদেশীরা আবেদন করে ভিসা পেয়ে থাকেন।
জেনে নেই এই “তিরিচিনো” ত্রেইনিং ভিসাটা আসলে কি?
আসলে “তিরিচিনো”ত্রেইনিং ভিসাটা হচ্ছে দুই ধরনের ক্যাটাগরির হয়ে থাকে যেমন ১- বাংলাদেশ থেকে কোন বিষয়ে দক্ষ কর্মী ইতালিতে কোন মালিক এর অধীনে এসে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করার মাধ্যমে কোন বিষয়ে কোর্স করার জন্য আসার ভিসা, এই ক্ষেত্রে একজন ইতালিয়ান মালিকের প্রতিষ্ঠানের উপর আপনার জন্য সকল কাগজ পত্র তৈরি করাতে হবে।
২- বাংলাদেশ থেকে কেউ ইতালিতে ইতালিয়ান সরকার দ্বারা অনুমোদিত কোন প্রতিষ্ঠানে কোন একটি বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোর্স করতে আসার জন্য ভিসা, আর এই ভিসার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইতালিয়ান সরকার দ্বারা অনুমোদিত সেই সকল একাডেমী বা প্রতিষ্ঠান এর কাছ থেকে সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
যেখানে কোর্স করার মাধ্যমে আপনি আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট পাবেন যা দিয়ে আপনি ইতালি সহ ইউরোপের যেকোনো দেশে সেই বিষয়ে কাজ করতে পারবেন।
তবে বিগত সময়ে কোন মালিকের অধীনে কাজ করতে আসার নুল্লা অস্তা নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করার বিষয়টা বর্তমানে আর দূতাবাস তেমন গুরুত্ত দিয়ে দেখে না, মানে এই ধরনের আবেদন এর ক্ষেত্রে আপনাকে ভিসা না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ইতালিয়ান সরকার দ্বারা অনুমোদিত হাতে গোনা কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে ওদের মাধ্যমে যদি সকল কাগজ পত্র তৈরি করে কোন একটি কোর্স করতে আসার জন্য আবেদন করা হয়? তাহলে সেই ধরনের আবেদনের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আমরা আবার খুব ক্লিয়ার করে বলে দিচ্ছি যে, আপনারা অনেকেই রয়েছেন যে আমাদের এই লিখাটা পরার পর থেকেই আপনার পরিচিত নানা ইতালিয়ান মালিক থেকে উকিল বা নানা মাধ্যমে তাদের কে টাকা পয়সা দিয়ে এই “তিরিচিনো”ত্রেইনিং ভিসার আবেদন করার জন্য কাগজ পত্র বের করিয়ে দেশে পাঠান বা পাঠাবেন, কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, আপনি অযথা ভালো করে না যেনেশূনে যারতার কাছ থেকেই এই “তিরিচিনো”ত্রেইনিং ভিসার নুল্লা অস্তা বা কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে পারলেই কিন্তু দেশে আপনার আত্মীয়রা এই ফাইল ঢাকাস্থ ইতালির ভিসা আবেদন কেন্দ্র ভিএফএস গ্লোবালে জমা করাতে পাড়বে না?
কারন আপনাদের আগেই বলেছি যে একমাত্র ইতালিয়ান সরকার দ্বারা অনুমোদিত হাতে গোনা কয়েকটা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে আর শুধু মাত্র তাদের দ্বারাই যদি এই ভিসার সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংগ্রহ করে দেশে পাঠাতে পারেন, তাহলেই দেশে আপনার পরিচিতরা এই ভিসার জন্য আবেদন পত্র জমা করাতে পাড়বে এবং ভিসাও পাবে।
তাই সবাইকে আগে থেকেই আবারো সাবধান করে দেওয়া হচ্ছে যে অযথা এই ভিসার জন্য কোন ইতালিয়ান, উকিল অথবা দালাল দের সাথে কোন প্রকার লেনদেন করা থেকে বিরত থাকুন।