খালি করা হয়েছে লন্ডনের ৮০০ ফ্ল্যাট

গ্রেনফেল টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুই সপ্তাহের মাথায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে থাকা লন্ডনের সুইস কটেজ এলাকার ক্যামডেন কাউন্সিলের ৫টি টাওয়ারের সব বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। চালকট এস্টেটভুক্ত ওই টাওয়ারগুলোর ৮০০ ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ‘জরুরি অগ্নি নিরাপত্তাজনিত কারণে’ শুক্রবার সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশটির কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ এসব ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের জন্য হোটেল রুম বরাদ্দ করেছে। বাসিন্দারা বলছেন, এটা খুব বিড়ম্বনার।
ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের জন্য হোটেল রুম বরাদ্দ থাকলেও অন্তত একশ’ জন জানান, তারা কাছাকাছি একটি বিশ্রাম কেন্দ্রের বিছানায় রাত কাটিয়েছেন। চালকটের এই টাওয়ারগুলোর বাইরেও পুড়ে যাওয়া গ্রেনফেল টাওয়ারের মতো প্লাস্টিক আবরণ দেয়া রয়েছে। ২০০৬ ও ২০০৯ সালে রাইডন ফার্ম এ আবরণ দিয়ে ভবনগুলোর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছিল। একই কোম্পানি ২০১৫-১৬ সালে গ্রেনফেলের সংস্কার কাজের দেখভাল করে। পশ্চিম লন্ডনে অভিজাত পাড়ার কাছের সোশ্যাল হাউজিং ব্লকে জরাজীর্ণ গ্রেনফেল টাওয়ারটির বাইরের রূপ বদলে অবয়বে চাকচিক্য আনতে নীল-সবুজ প্লাস্টিক আবরণে মোড়ানো হয়েছিল। এ কাজে সস্তা এবং অগ্নিনিরোধক নয়- এমন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিল। এ কারণে ২৪তলা ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল বলে ধারণা অনেকের। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৭৯ জনের প্রাণহানির পর যুক্তরাজ্যজুড়ে বিভিন্ন টাওয়ার ব্লক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে যে, সেগুলোর আবরণে কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা।
ক্যামডেন কাউন্সিল জানায়, তারা চালকটের ৫টি টাওয়ারে বাইরের ওই প্লাস্টিক আবরণ সরিয়ে ফেলবে। কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা ফ্ল্যাটগুলোর গ্যাস পাইপ নিরোধক ও অগ্নি-দরজাগুলো নিয়েও উদ্বিগ্ন। কাউন্সিলের নেতা জর্জিয়া গোল্ড জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভবন ফাঁকা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button