সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের সমর্থন চায় আরবলীগ

Arabসিরিয়ায় মারাত্মক রাসায়নিক  অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত রোববার কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে ইস্যুকৃত বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ জাতিসংঘ চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংস্থাদ্বয়ের যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। এতে বলা হয়, ২১ আগস্ট নিরীহ মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ প্রশাসন দায়ী।  পররাষ্ট্র মন্ত্রীগণ বলেন, এ হামলায় যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার ইতোপূর্বে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধের বিচার যেভাবে হয়েছে, সেভাবেই কার্যকর হওয়া উচিত। এর আগে সৌদি আরব এবং সিরিয়ার বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সিরীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানে সমর্থন দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল।
বৈঠকে সৌদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদ আল ফায়সাল বলেন, সময় এসেছে, বাশার প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার। বৈঠকে সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন প্রধান আহমদ আল জারবা বলেন, বাশার আসাদের এই যুদ্ধ-মেশিন একদিন অবশ্যই থেমে যাবে। তিনি বলেন, আজ আমি আপনার আগে এখানে এসেছি, একান্তই ভ্রাতৃত্ব ও মানবিক বোধের জায়গাটি থেকে নিরীহ মানুষ ও মানবতাবিধ্বংসী যুদ্ধ মেশিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক শক্তির রুখে দাঁড়াবার দাবি নিয়ে।
২০১১ সালে সিরিয়ার সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বিরোধী দলের এই ‘আম্ব্রেলা জোট’কে আরব লীগ দারুণ সমর্থন দিয়েছিল আসাদ প্রশাসনকে রুখে দিতে।
যদিও মিসর, ইরাক, লেবানন, তিউনিশিয়া ও আলজেরিয়াসহ আরব লীগের বেশকিছু প্রভাবশালী সদস্য দেশ সিরিয়ায় কোন বিদেশী শক্তির সামরিক আক্রমণের বিরুদ্ধে জোরালো অভিমত ব্যক্ত করেছে।
এদিকে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী গত রোববার বলেছেন, তার দেশ ও পুরো সিরীয় জাতি সিরিয়ায় যে কোন বহিঃশক্তির আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দামেস্কের সেই ভয়াল একুশে আগস্ট নিরস্ত্র সিরীয় নাগরিকদের ওপর আসাদ প্রশাসনের রাসায়নিক অস্ত্র হামলার পর্যাপ্ত দালিলিক প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। তাদের হিসেবে ঐ হামলায় অন্তত ১ হাজার ৪শ’ লোক নিহত হয়েছিল। যদিও ঐ হামলার দায়-দায়িত্ব সিরীয় সরকার বরাবর অস্বীকার করেই আসছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button