‘আল্লাহ নিজেকে আমার জন্য প্রকাশ করেছেন এবং আমার মেয়ে একটি বড় প্রভাব রেখেছে’
সায়েনারা দিয়াজ। তিনি ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে নিউইয়র্কে অভিবাসী হন। গত দুই বছর আগে তিনি ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। সম্প্রতি ‘এল রেনন দে ইসোল্লা’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ ব্যাপারে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন।
সাক্ষাতকারে তিনি তার ইসলাম গ্রহণ, এ নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে কথা বলেন। কি বিষয় এবং কে তাকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিল দিয়াজ সেটিও শেয়ার করেছেন।
দিয়াজ বলেন, ‘আমি দুই বছর আগে মুসলমান হয়েছি। ইমলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণ হচ্ছে আল্লাহ তার নিজেকে আমার জন্য প্রকাশ করেছেন এবং আমার মেয়ে এ বিষয়ে একটি বড় প্রভাব রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ফিজিওলজিতে অধ্যয়ন করছে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলাম বিষয়ে তার একটি পাঠ রয়েছে। ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করার ব্যাপারে তার কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে এবং আমি আমার মেয়ের মাধ্যমে অন্তর দিয়ে অনুধাবন করতে পারি ইসলামের পরিচয় সম্পর্কে। মানুষ ইসলাম সম্পর্কে যা বলে এটি তার চেয়েও বেশি কিছু।’
বর্তমানে ল্যাটিনদের মধ্য বিশেষকরে ল্যাটিন নারীদের ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনুমান করা হয় যে, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩.৩ মিলিয়নেরও বেশি লোক ইসলামের অনুসারী রয়েছেন এবং তাদের মধ্য ৬ শতাংশ হচ্ছে হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর।
ইসলামে ধর্মান্তরের সংবাদ দিয়াজের পরিবার ও বন্ধুদের তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘স্বীকার করছি কিছু মানুষ ইসলামের নাম নিয়ে প্রায়ই সন্ত্রাসী কর্মের সঙ্গে যুক্ত আছে। ইসলামে আমি আধ্যাত্মিক শান্তি এবং আল্লাহর সঙ্গে একটি সত্যের সংযোগ খুঁজে পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত,পরিবারের কিছু সদস্য কর্তৃক আমি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বিষয়টি অনুভব করেছি। তাদের একজন আমাকে জানিয়েছে যে ইসলামে আমার ধর্মান্তরের কারণে তিনি নার্ভাস অনুভব করেন।’
ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তার অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে দিয়াজ জানান, এতে তিনি অনেক বেশি দুঃখ ও বিষণ্নতা অনুভব করেছেন।
তিনি আরো জানান, এটি অন্য কাউকে শাস্তি দেওয়ার জন্য খুব বেশি অন্যায্য হবে। ক্ষতি করে একজন এবং অন্যদেরকে এর দোষ বহন করতে হয়।