লেবার পার্টির জনসমর্থন কনজারভেটিভ থেকে ৮ শতাংশ এগিয়ে
টেরিজা মের কনজারভেটিভ দল সরকার গঠন করলেও যুক্তরাজ্যের করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির জনপ্রিয়তার পারদ চড়েছে চড়চড় করে। সর্বশেষ দ্য টাইমস পত্রিকার করা জরিপে শাসক দলের চেয়ে আট পয়েন্টে এগিয়ে আছে বিরোধীরা। টাইমসের জন্য খ্যাতনামা জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘ইউগভ’ এই জরিপকাজ পরিচালনা করে।
এক প্রতিবেদনে টাইমস জানায়, করবিনের লেবার পার্টির জনসমর্থন এখন ৪৬ শতাংশ। অপরদিকে কনজারভেটিভদের ৩৮। যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে কম জনসমর্থন।
এদিকে লেবার ছাড়াও যুক্তরাজ্যের অন্যতম দুই রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটদেরও জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সর্বশেষ জনপ্রিয়তার গ্রাফে দলটি ৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে। আর স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) সমর্থন কমে দাঁড়িয়েছে ৪ শতাংশে।
জরিপ সংস্থা ‘ইউগভ’ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল তরুণ জনসমর্থন বেড়েছে লেবারদের। এর আগে স্কাই নিউজও জানিয়েছিল, আগাম সাধারণ নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক তরুণের ভোট পেয়েছে জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।
অবশ্য তরুণদের সমর্থন টানার জন্য চেষ্টার কমতিও করেননি করবিন। এবারের নির্বাচনের আগে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন করবিন। নির্বাচনী প্রচারের সময় বিনা বেতনে উচ্চশিক্ষার আশ্বাস দেন তিনি।
এরআগে গত মাসে প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টি তখন বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপক জনপ্রিয়। তখন প্রধান বিরোধী দল লেবারদের চেয়ে এগিয়ে আছে ২৮ পয়েন্টে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে যা ‘ব্যাপক জনপ্রিয়তার’ মাইলফলক ছিল।
কিন্তু ভোটের আগেই পাল্টে গেল পরিস্থিতি। দ্রুতই জনপ্রিয়তার গ্রাফ চড়ল জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির। নির্বাচনেও দেখা গেল যার স্পষ্ট প্রতিফলন।
কনজারভেটিভরা বেশি আসন পেয়ে সরকার গঠন করল বটে। তবে তা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নয়। ব্রিটেনের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩২৬টি আসন। কনজারভেটিভ পার্টি পেল ৩১৮, লেবাররা পেল ২৬১। যেখানে লেবার দলের ভরাডুবির কথা ভাবা হচ্ছিল, সেখানে উল্টো কনজারবেটিভ দল ১৩টি আসন হারাল!
ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পেল ব্রিটেন। ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলেন কনজারভেটিভ নেত্রী মে।