মহাকাশে উড়লো বাংলাদেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট
বাংলাদেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণের পর পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ শুরু করেছে।
‘ব্র্যাক অন্বেষা’ নামে স্যাটেলাইটটির নকশা, উপকরণ সংগ্রহ এবং তা বানানোর সব কাজই করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা, আবদুল্লা হিল কাফি ও মাইসুন ইবনে মনোয়ার।
এ উপলক্ষে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে কক্ষপথে সংযুক্ত হয় এ ন্যানো স্যাটেলাইটটি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, প্রথমবারের মতো ন্যানো স্যাটেলাইট উড়েছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের ছেলেরা প্রমাণ করে দিয়েছে চেষ্টা করলে বাঙালির কাছে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। ন্যানো প্রযুক্তি বিশ্বের নাম্বার ওয়ান।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, স্পারসোর সদস্য হাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন।
জাপানে তৈরি হওয়া এ ন্যানো স্যাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থান করে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৯০ মিনিটের মতো।
গেলো রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা ৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ক্যানেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
এর আগে গেলো বছরের জুনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির সঙ্গে চুক্তি হয়।
পরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ৩ শিক্ষার্থী অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হয় ‘ব্র্যাক অন্বেষা’।
উৎক্ষেপিত ব্র্যাক অন্বেষার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসের ছাদে তৈরি করা হয় গ্রাউন্ড স্টেশন।
২৫ মে এটির উদ্বোধন করেছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ।