আলজাজিরা বন্ধের দাবি থেকে সরছে সৌদি জোট
কাতারকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিরোধ দেওয়া সৌদি আরবসহ চারটি দেশ দোহাভিত্তিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক আলজাজিরা বন্ধের দাবি থেকে সরে আসতে পারে। সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদবিষয়ক মন্ত্রী নুরা আল-কাবি।
বুধবার প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে টাইমসকে আল-কাবি বলেন, তাঁর দেশ আরব আমিরাত আলজাজিরার মৌলিক পরিবর্তন ও পুনর্গঠন চায়। তবে চ্যানেলটি বন্ধের পক্ষে নন তাঁরা।
এই চ্যানেলের কর্মীরা তাঁদের চাকরি টিকিয়ে রাখতে পারবে এবং কাতার এখনো একটি টিভি চ্যানেল চালাতে পারে। তবে এমন কোনো চ্যানেল চালাতে পারে না, যা চরমপন্থীদের প্ল্যাটফর্ম এবং ইংরেজি চ্যানেলটি উগ্রপন্থী আরবদের রক্ষাব্যুহ, বলেন আমিরাতের মন্ত্রী।
আল-কাবি বলেন, সৌদির নেতৃত্বাধীন দেশগুলো কাতারের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা কূটনৈতিক সমাধান চাই। আমরা এই সংকট বাড়াতে চাইছি না।
সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ দেয় সৌদির নেতৃত্বাধীন চারটি দেশ। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরো কয়েকটি দেশ।
অবরোধ উঠিয়ে নেওয়ার শর্ত হিসেবে কাতারকে ১৩টি শর্ত দেয় চার দেশ। এর মধ্যে ছিল আলজাজিরা বন্ধ করা, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড, ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাস ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা।
উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) ও তাদের মিত্র মিসরের উল্লিখিত দাবিগুলো আমলযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করে প্রত্যাখ্যান করে আসছে কাতার। এর পর চার আরব দেশের মন্ত্রীরা একাধিকবার বৈঠক করেও এই সংকটের কোনো সুরাহা করতে পারেননি। এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরেও আলোর মুখ দেখা যায়নি।