নাজির বাজার ওয়েল ফেয়ার এন্ড এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের উদ্যোগে শোকসভা ও দু’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত
ব্রিটেনের অন্যতম কমিনিটি সংগঠন নাজির বাজার ওয়েল ফেয়ার এন্ড এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের উদ্যোগে বিশিষ্ট জনদের ইন্তেকালে আয়োজিত শোকসভা ও দু’আ মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে যারা জীবনের সফলতা খুজেঁন মানুষ তাঁদের সারাজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এমন মানুষ আছেন বলেই এখনো মানবতা বেঁচে আছে। তাঁদের সম্মান জানানো, তাঁদের মাগফেরাতের জন্য দুয়াঃ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মোশাহিদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ এর পরিচালনায় পূর্ব লন্ডনের সোনারগাঁ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত শোক সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য সফররত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব:) সৈয়দ আলী আহমেদ, সংগঠনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজসেবী অধ্যাপক মাসুদ আহমেদ, শিক্ষাবিদ শাহ ফরিদ, টাওয়ার হেমলেট কাউন্সিল এর ডেপুটি স্পিকার মুহাম্মদ আয়াস মিয়া, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্ট এর সাবেক সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম নজু, ট্রাস্ট সহসভাপতি এনামুল হক, ট্রেজারার মুহাম্মদ তহুর আলী, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি এম এ আলী, আব্দুল কাদের, সমাজসেবী এডভোকেট এম এ করিম, দর্পন সম্পাদক সাংবাদিক রহমত আলী, শেখ হাসান দুলাল, শাহ নাহিন, ট্রাস্ট এডুকেশন সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইকবাল।
বক্তারা মরহুমদের জীবনের নানা কর্মকান্ডের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণে তাদের অবধান এ অঞ্চলের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
বক্তারা বলেন, মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী, জীবনের ঐ স্বল্প পরিসরে মানুষ মানুষের মাঝে বেঁচে তাদের ভালো-মন্দ দুই ধরণের কাজের মাধ্যমে। কেউ ভালো কাজ করে স্মরণীয়-বরণেও হয়ে থাকেন আবার কেউ অকল্যানকর কাজ করে মানুষের ঘৃণা-উপহাস পেয়ে পৃথিবী থেকে ছেড়ে চলে যান। আমরা আজ যাদের মাগফেরাত কামনা করছি তাদের জীবনের দিক গুলো যদি স্মরণ করি তবে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় তারা সমাজ, দেশ, জাতির জন্য কল্যানমুলক কাজগুলোকে তাদের জীবনের লক্ষ্য হিসাবে বেঁচে নিয়েছিলেন। তাই অর্থ-বিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তির চেয়ে তারা মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসা পেয়েছিলেন নিরন্তন।
বক্তারা সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব তজমূল আলী’র স্মৃতিচারণ করে বলেন, একজন আদর্শ শিক্ষক, একজন আদর্শ মানুষ এবং একজন সমাজ অবিভাবক হিসেবে তাঁর মতো মানুষ আজকের সমাজে বিরল। বিশ্বনাথ তথা সিলেট অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে একজন শিক্ষক তজম্মুল আলী যে অবদান রেখে গেছেন সেটার ফল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তথা বাংলাদেশের মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ভোগ করবে। বক্তারা বলেন, তজম্মুল আলীর মতো মানুষ দুনিয়াতে বারবার আসেন না। কল্যাণময় সমাজ বিনির্মানে এমন মানুষের খুব বেশি দরকার।
বক্তারা দয়ামীর ইউনিয়নের আহমদ নগর নিবাসী বিশিষ্ট মুরব্বি ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মরহুম আলহাজ্ব আফিজ আলী’র স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রবাসে মানুষের কল্যাণে আফিজ আলী ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ মানুষ। পরোপকার করার মাধ্যমে তিনি যেন মানুষের মমতা খুঁজে নিতেন।
বক্তারা লালাবাজার ইউনিয়নের জাফরাবাদ নিবাসী, সাবেক শিক্ষক আব্দুল মতিন (কাপ্তান মিয়া’র) স্মৃতিচারণ করে বলেন, জীবনে অর্থ-বিত্তের পেছনে না ছুঁটে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার কাজে কাপ্তান মিয়া জীবনের সার্থকতা খুঁজে ছিলেন। তাঁর জীবনের সার্থকতা এখানেই, আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই কিন্তু আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি।
বক্তারা তরুন সংগঠক মোঃ গোলাম মোস্তফা’র (শেফু) স্মৃতিচারণ করে বলেন, আজকের তরুণ সমাজের অবক্ষয় যেমন আমাদের কষ্ট দেয় তেমনি গোলাম মোস্তফা শেফুর মতো তরুণরা আমাদের মনে আশার বাতি ছড়িয়ে দেয়।